দুবেলা, অরিজিৎ মন্ডলঃ দীর্ঘ ৪০ দিন জেলেই কাটাতে হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে তার জামিন হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল প্রেসিডেন্সি জেল থেকে। কিন্তু কোর্টের আদেশ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে না আসার জন্য শুক্রবারও থাকতে হলো জেলে। শনিবার ছাড়া পেলেন নওশাদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুনঃ ফিশচুলার সমস্যা নাকি দিল্লি না যাওয়ার বাহানা?
গত ২১ শে জানুয়ারি আইএসএফ এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় এক জনসভার আয়োজন করে তারা। সেখানেই আইএসএস কর্মী সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ধুমধুমার পরিস্থিতি হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৭ জনকে। একাধিক মামলায় তাকে পুলিশ হেফাজত রাখা হয়।
তার পরে তাকে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ জামিনে মুক্ত কৌস্তভ বাগচী
শুক্রবারটাকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও জেল কর্তৃপক্ষের হাতে রিলিজ অর্ডার না এসে পৌঁছানোর জন্য তাকে শুক্রবারও জেলে থাকতে হয়। তাই শনিবার সকাল থেকেই আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে নওশাদ সিদ্দিকী জেল থেকে বেরোনোর পরই উচ্ছ্বাসে মাতেন তারা। ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়া হয়। এদিন তিনি জেল থেকে বেরিয়ে তার বাড়ি ফুরফুরা শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি বলেন, “মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তর দিতে শুরু করেছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এর চেয়েও ভালো ফুল হবে বিরোধীদের।”
আরও পড়ুনঃ জম্মু-কাশ্মীর বিবাদে আবারো রাষ্ট্রসঙ্ঘে কোনঠাসা পাকিস্তান