দুবেলা, জুম দও (সম্পাদনা- শ্রদ্ধা দাস)ঃ “মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনে গিয়ে বলতে ভুলে গেলেন, যে এ রাজ্যে দুর্নীতিও ফ্রি”—কটাক্ষ ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এসএসসি ২০১৬ পরীক্ষার মাধ্যমে ৯, ১০, ১১, ১২ এর শিক্ষক পদে এবং গ্রুপ C, গ্রুপ D-তে নিয়োগ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই দুর্নীতির জন্য এসএসসি ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। প্রায় ২৬,০০০ মানুষের চাকরি চলে যায়। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনের ভাষণে বলেন—বাংলায় স্বাস্থ্য ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি, সব ফ্রি।
অধীর চৌধুরী সেই নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন্, “মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনে গিয়ে বলেছেন, বাংলায় স্বাস্থ্য ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি, সব ফ্রি, কিন্তু বলতে ভুলে গেলেন—এখানে দুর্নীতিও ফ্রি!” তিনি আরও বলেন, “সবকিছুর জন্য তিনিই দায়ী। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন না, করে দিলে পরের দিন সূর্য পশ্চিম থেকে উদয় হবে”। বর্তমানে এ রাজ্যে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে।
যারা যোগ্য, তাদের কী হবে? তাদের চাকরি গেলো, তার দায় কে নেবে? কেন এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করতে পারল না? কেন OMR শীট এক বছরের মধ্যে নষ্ট করে ফেলা হলো? রাজ্যের বাজারে জাল ওষুধ, জাল স্যালাইন ছেয়ে গেছে। ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তোলাবাজির মাধ্যমে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।