এখকেমন আছেন সুনীতারা?

Spread the love

দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: ৯ মাসের টান টান উত্তেজনার অবসান ঘটলো এবার।গত ৯ মাস ধরে আন্তজার্তিক স্পেস স্টেশনে কাটিয়ে ১৯ মার্চ পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর, নিক হেগ ও রাশিয়ান নভোচর আলেকজান্ডার গোরবুনভ ।

ভারতীয় ঘড়ির কাটায় তখন ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে নিরাপদে ফ্লোরিডা উপকূলে ওশান স্প্ল্যাশডাউন হয় । পৃথিবীতে অবতরণ করেন ৪ মহাকাশচারী ৷ সেখান থেকে হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারে রওনা দেন তাঁরা ৷মহাকাশ থেকে হ্যাচ বন্ধ করে এবং আইএসএস থেকে ড্রাগন মহাকাশযান আনডক করার পর মঙ্গলবার সকাল ১০. ৩৫ মিনিটে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। আনডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল ১০. ১৫ মিনিটে এবং ১০. ৩৫ মিনিটে ড্রাগন আনডক প্রক্রিয়া শেষ হয় ৷ ১৯ মার্চ রাত ২. ৪১ মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে মহাকাশযান ড্রাগন ৷ ১৯ মার্চ বুধবার, ভোররাত ৩. ২৭ মিনিটে নিরাপদে ফ্লোরিডা উপকূলে আতলান্তিক মহাসাগরে সফল ‘ওশান স্প্ল্যাশডাউন’ স্পেসএক্সের ডাগ্রন মহাকাশযানের । সেখানে তাঁদের আনতে পৌঁছে গিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজ।

সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে ISS-এ থেকেছেন । গত বছরের জুন মাসে তাঁরা স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ৷ ৮ দিনের মিশন হলেও, সেটি ৯ মাসে অতিক্রম করে।
সেপ্টেম্বরে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটি নিরাপদে পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয় ৷ এটির থ্রাস্টারে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে (হাইড্রোলিক লিকেজ) এটি মানববিহীন ভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। সুনীতা উইলিয়ামস প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হিসেবে সর্বাধিক সময় মহাকাশে হাঁটার রেকর্ড স্থাপন করেছেন ৷ নয়টি স্পেসওয়াকের মাধ্যমে 62 ঘণ্টা স্পেসওয়াক করেছেন ৷ তিনি এবং তাঁর সহকর্মী মহাকাশচারীরা উভয়ই মহাকাশ স্টেশনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। উইলিয়ামস মহাকাশে যাওয়ার তিন মাস পরে স্টেশন কমান্ডারও হন এবং এই মাসের শুরু পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

নাসার তরফে জানা গিয়েছে, এখনই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। তাঁরা আপাতত ক্রু-কোয়ার্টারে থাকবেন কিছুদিন ৷ সেখানে কয়েক সপ্তাহ তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলবে ও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

Related posts

Leave a Comment