কেশপুরে হিরণকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ

Spread the love

 দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : ২৫ শে মে অর্থাৎ শনিবার ঘাটাল সহ আরো বহু লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ছিল। সকাল থেকেই উত্তপ্ত আবহাওয়া সেইসব কেন্দ্রে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ সকালেই পৌঁছে যান সেখানে। সেখানে পৌঁছেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে বচসায় লিপ্ত হন তিনি। সকাল থেকেই ওই বুথে ছাপ্পা চলছিল বিজেপির তরফ থেকে, সেই অভিযোগ উঠে এসেছে। বিজেপির পোলিং এজেন্ট অভিযোগ জানান যে তৃণমূল তাদের এজেন্টকে বসতে দেয়নি বুথে। এই ঘটনার মধ্যেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : কলকাতা মেট্রোয় চালু বিশেষ পরিসেবা , জেনে নিন

ঘাটালে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর সংঘর্ষের কথা বহুবার উঠে এসেছে শিরোনামে। কেশপুরে শনিবার সকালে আবারো বচসা সৃষ্টি হয়। হিরনের গাড়ি ঘিরে ধরেন ওখানকার স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা। তার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন বহু তৃণমূল কর্মী। তাকে যেতে দেওয়া হবে না সেই দাবি করেন তারা সাথে দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। গাড়ির সামনে খর জ্বালিয়ে তারা পথ অবরোধ করেন। কেউ কেউ আবার লাঠি নিয়ে মারমুখী হন হিরণের প্রতি।
চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে ঘটে এই ঘটনা। এমনকি গাড়ি ঘোরাতেও বাধ্য হন হিরণ।

আরও পড়ুন : হিরণের ডিগ্রি ভুয়ো, উঠছে অভিযোগ

হিরণ জানান ষষ্ঠ দফায় ভোটের জন্য আটটি কেন্দ্রে বহু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। তা সত্ত্বেও এইরকম নিষ্ক্রিয় ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন তিনি। এত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও বচসার মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাতীত। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে কেশপুর ও আনন্দপুরের দুই ওসি সারারাত বম্বিং করেছেন। এমনকি তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছেন, অত্যাচার চালিয়েছেন। তার মতে তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। সারাদিন তিনি যতটা সম্ভব চেষ্টা চালাবেন। পুলিশ পোলিং এজেন্টদের তুলে নিয়ে গেছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। হিরণ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলার মানুষদের দেখা প্রয়োজন। এসি ঘরে বসে যারা বড় বড় কথা বলেন তারা একবার কেশপুরে এসে দেখুক “।

আরও পড়ুন : অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করে রেকর্ড গড়লেন রিগজিন

হিরণ এর আগেও ঘাটালে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। আজ ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। ঘাটালের স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয়। তাকে এগোতে দেবে না গাড়ি নিয়ে সেই কথাও বলেন তারা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী আধিকারিকদের দপ্তর দু’ঘণ্টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেন।

আরও পড়ুন : কলকাতা মেট্রোয় চালু বিশেষ পরিসেবা , জেনে নিন

Related posts

Leave a Comment