দুবেলা সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান বনাম মুম্বাইয়ের ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মুম্বাই সিটি এফসি। সেই লড়াইয়ের মনভাবই আজকের ম্যাচে জিততে সাহায্য করলো মুম্বাইকে।
আরও পড়ুন : রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
আজকের ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল মোহনবাগানের কাছে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনে নিতে হলো মেরিনার্স বাহিনীকে। প্রথম গোলটি আসে মোহনবাগানের তরফ থেকে। প্রথমার্ধে ৪৪ মিনিটের মাথায় জে. কামিনসের পায়ে করে। তাতে মোহনবাগানের সমর্থকদের আশা অনেক বেড়ে যায়। হাফ টাইমের পর খেলা শুরু হলে, বেশিক্ষণ সময় নেয় না মুম্বাই সিটি এফসি। ৫৩ মিনিটেই পেরেয়া ডিয়াজ গোলটি শোধ করে দেয়। তারপরেও মোহনবাগান সমর্থকরা আশা ছেড়ে দেয়নি। অনেকে মনে করেছিলেন খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় গোলটি হবে মোহনবাগানের তরফ থেকে। কিন্তু তা আর হলো না। ৮১ মিনিটে মুম্বাই দ্বিতীয় গোলটি করে। বি. সিং এর পায়ের দক্ষতায় বলটি গোল লাইন পার করে যায়। অনেক মোহনবাগান সমর্থকরা খেলা শেষ হওয়ার আগেই গ্যালারি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ৯০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরে আরো ৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ৯৭ মিনিটে তৃতীয় গোলটি আসে মুম্বাইয়ের। জে. ভোজতাস তৃতীয় এবং শেষ গোলটি করে সুনিশ্চিত করে দেয় তাদের জয়। তার দু মিনিট পরেই রেফারির বাঁশিতে খেলা সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন : বিপর্যস্ত হচ্ছে কলকাতার ফুসফুস, প্রতিবাদ বিশেষজ্ঞদের
ম্যাচের শেষে মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা অভিনন্দন জানায় মুম্বাইকে। হাবাসের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো। তবে এই হার আরো শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে মোহনবাগানকে। শিল্ড কলকাতায় না আসায় শুধু মোহনবাগান সমর্থকরা নয়, সব বাঙালি আশাহত হয়েছে। তবে পরের বছর আবার নতুন করে শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে মেরিনার্স বাহিনী, সেই আসা নিয়েই বাড়ি ফিরলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা।
আরও পড়ুন : ক্যাডবেরিতে ফাঙ্গাস, সতর্ক থাকুন