দুবেলা, ঋত্বিকা ঘোষ : একটানা ১৯ ঘন্টার তোড়জোড় আর দিল্লি যাত্রার পর অবশেষে শেষ হল কেষ্টর হোলি খেলা। গতকাল ইডির সঙ্গে দিল্লি পাড়ি দেন অনুব্রত মন্ডল। মধ্যরাত্রি পর্যন্ত চলে বিচারসভা। অবশেষে রাউস এভিনিউ কোর্টের বিচারক রাকেশ কুমার তিন দিনের ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল হেফাজতে থাকবে ইডির।
আরও পড়ুনঃ ডি এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি নিয়ে পৌঁছানোর পরে ইডি বিচারক রাকেশ কুমার এর কাছে এই যে লাশের শুনানির আবেদন জানান। বুধবার যেহেতু হোলি উপলক্ষে আদালত বন্ধ তাই মঙ্গলবার রাত ১১ টা ২০ নাগাদ এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয় অনুব্রতকে। বিচার শুরু হওয়ার আধা ঘন্টা পরে বন্ধ হয়ে যায় ভার্চুয়ালি বিচার। ঠিক করা হয় বিচারকের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে অনুব্রতকে।
আরও পড়ুনঃ দোলপূর্ণিমার দিনেই কলকাতা ছাড়তে হচ্ছে অনুব্রতকে।
এরপর কেটে যায়, প্রায় দু’ঘণ্টা। রাত্রি ১ নাগাদ ইডি অনুব্রতকে নিয়ে পৌঁছই বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়ি।সেখানে আবারো রাত্রি একটা ১০ নাগাদ শুরু হয় বিচার পর্ব। অনুব্রত সঙ্গে তার আইনজীবী ও ছিলেন। ইডির আধিকারিকরা বিচারকের কাছে আবেদন করেন, গরু পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে, কে কে এর সাথে যুক্ত ছিলেন ইত্যাদি জানার জন্য অনুব্রত মণ্ডল কে কমপক্ষে ১৪ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে রেখে জেরা করা দরকার। কিছুক্ষণ সাওয়াল জবাব চলার পর শেষে বিচারক কেষ্টকে তিন দিন ইডির র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই গোটা পর্বে বলতে গেলে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভাবে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।এমনকি এই গোটা পড়বে সংবাদ মাধ্যমের কাছেও কোনো রকম মুখ খোলেননি তিনি। তার এমন আচরণে অবাক হচ্ছে সকলেই।