দুবেলা, ঋত্বিকা ঘোষ : ” স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল, দ্বার খোল,ওরে গৃহবাসী “… রাত পোহালেই দোল। আবিরের রঙে রাঙা হয়ে উঠবে আকাশ বাতাস।বাঁধনহারা আনন্দে মেতে উঠবে সকল বয়সের মানুষেরা। হাসি মজা হই হট্টগোলে মেতে উঠবে গোটা এক একটা পরিবার। রং খেলা খাওয়া-দাওয়া আর দেদার আড্ডায় জমে উঠবে অনেকগুলো পাড়ার ঠেক। বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া বন্ধুর এক চিলতে আবিরে ধুয়ে যাবে সমস্ত পুরনো অভিমান। অপেক্ষারত ডাইনিং টেবিলটার সমস্ত চেয়ার ভর্তি করে একটা গোটা পরিবার চায়ের আড্ডায় বসবে।
আরও পড়ুনঃ ডি এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা মুখমন্ত্রীর
খুশির আমেজে দেদার মজায় কাটবে সারাটা দিন। কিন্তু উৎসব আনন্দে স্বাস্থ্যকে ভুললে চলবে না।সম্পূর্ণ অবাধ্য হয়ে অসচেতন ভাবে চললেই বিপদ। তাই উৎসবের দিনগুলোতে কিভাবে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে পারবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি ফিরলেন নওশাদ
বসন্ত উৎসবের রং খেলার মেজাজে খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের চোখের ভেতরের রং চলে যায়। আর তাতেই ঘটতে পারে ঘোরতর বিপদ।বর্তমানে বেশিরভাগ রং বা আবির তৈরি হয় রাসায়নিকভাবে। আর অসাবধানতাবশত সেই রং যদি চোখে যায় তাহলে চোখ জালা চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ দিয়ে জল পড়ার মতন বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই ভুল করে যদি চোখে কখনো রং যায় অবশ্যই পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। রং বা আবির লাগা হাতে কখনোই নিজের চোখ ধরবেন না। রং বা আবির খেলার সময় সর্বদা চোখ নিয়ে সচেতন থাকুন।
আরও পড়ুনঃ জম্মু-কাশ্মীর বিবাদে আবারো রাষ্ট্রসঙ্ঘে কোনঠাসা পাকিস্তান
এছাড়াও আরও একটি অন্যতম সমস্যা হল এলার্জি। যে সমস্ত মানুষদের অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা আছে তারা চেষ্টা করবেনরং থেকে দূরে থাকার। এই সমস্ত রাসায়নিক রং বা আবির লেগে ত্বকে অনেক সময় এলার্জি দেখা দেয়। কখনো বা তা এমন অত্যাধিক আকার ধারণ করে যে ত্বকের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায় এবং চুলকানির মতন সমস্যা দেখা দেয়। তাই একান্তই রং খেলার ইচ্ছা হলে ভেষজ বা হার্বালরং বা আবির ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনঃ জাপানে জন্মহার এর চেয়ে অধিক মৃত্যুহার!
কিছু মানুষের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা থাকে। আবির বা রংয়ের গুঁড়ো নাকে গেলে অনেক সময় বহু মানুষের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেয়।তাই অ্যাজমা রোগীরা সর্বদা ইনহেলার সঙ্গে রাখুন এবং মাস ব্যবহার করুন। কারণ এই রাসায়নিক রং বা আবির ফুসফুসে গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িছাড়া হলেন নওয়াজের স্ত্রী ও সন্তান!
এছাড়াও দোল খেলার মধ্যে আরেকটি বিশেষ রীতি দেখা যায়, সেটি হলো ভাং বা সিদ্ধি খাওয়া। তবে এই ভাং বা সিদ্ধি খাওয়ার ফলে মানুষ অজ্ঞান পর্যন্ত হতে পারে। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়।অসাবধানতাবশত বেশি পরিমাণ পান করে ফেললে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।তাই সচেতন থেকে এই সমস্ত নেশা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
আরও পড়ুনঃ 3D অ্যাকশন নিয়ে আসছে ‘ভোলা’
আর সবশেষে পড়ে রইল ডাইবেটিস। মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোন উৎসবই যেন সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার উৎসবের দিনেও একটু সচেতন থাকাটা কিন্তু বাধ্যতামূলক। এবং রেড মিট,তেলেভাজা ইত্যাদি খাবার থেকে দূরে থাকুন।কারণ, ” স্বাস্থ্যই সম্পদ। “