সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে কি দেবী সত্যিই ক্ষুব্দ হন?

Spread the love

দুবেলা, এ ডিঃ সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া উচিত না। এতে নাকি দেবী সরস্বতী ক্ষুব্দ হন। আর পরীক্ষায় নাম্বারও বেশ কমে যায়। আদেও এর সত্যতা কতটা, পৌরাণিক মতে বলতে গেলে, একসময় বৌদ্রিক আশ্রমে তপস্যা করছিলেন ব্যাসদেব মনি। তিনি যেখানে বসে তপস্যা করছিলেন। তাঁর পাশে একটি কুলবীজ রেখে শর্ত দেওয়া হয়েছ। যেদিন এই কুলবীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারাগাছ হবে এবং এই গাছ বড়ো হয়ে নতুন কুল হবে।  অবশেষে সেই কুল পেঁকে ব্যাসদেবের মাথায় পরবে, সেদিনই তাঁর তপস্যা সম্পন্ন হবে।

আর দেবী সরস্বতী ও তুষ্ট হবে। এই শর্তে ব্যাসদেব মনি কোনো দ্বিধা না করেই মেনে নিয়েছিলেন। আর নিয়ম মতো তাঁর কঠিন তপস্যা শুরু করেছিলেন। কাল ক্রমে বছরের পর বছর এভাবেই চলে গেল। অবশেষে অঙ্কুরিত কুল গাছ বড়ো হয়ে সেই গাছের পাঁকা কুল ব্যাসদেবের মাথায় পরে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন দেবী সরস্বতী তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়েছেন। সেদিন শ্রী পঞ্চমী তিথি তে দেবী সরস্বতী দেবীকে কুল নিবেদন করেন। যেহেতু সেদিন শ্রী পঞ্চমীর দিন, দেবী সরস্বতী কে কুল নিবেদন করা হয় তাই অনেকেই পুজোর আগে কুল খায় না।

  https://www.facebook.com/dubelanews

শাস্ত্র সম্মত কারণ দেখলে বলা যায়, মাঘ মাসের মাঝা মাঝি সময় কুল কাঁচা ও কস যুক্ত হয়। এই সময় শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্তে প্রবেশের সময় বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সর্দি কাশির প্রবণতা বেড়ে যায়। আর ছোটো বড়ো সব্বাই কুল খেতে পছন্দ করে। তবে এই কস যুক্ত কাঁচা কুল খেলে সর্দি কাশি সারতে দেরি হয়, বিশেষ করে টক কুল, তাই বলা হয় সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া উচিত না।

Related posts

Leave a Comment