দুবেলা, দিশা সাহা মন্ডল (সম্পাদনা- অনীশ মাল)ঃ পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা 2016 সালে নিয়োগ প্রাপ্ত ২৫,৭৫৩ শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করল সুপ্রিমকোর্ট। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে এবার প্রশ্ন তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় এই আইনি লড়াই, শয়ে শয়ে শিক্ষক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এই আশায় – যে যোগ্যরা যাতে চাকরি থেকে বঞ্চিত না হয়।
ফলত এতদিন ধরে চলা সংগ্রাম বৃথা যায় । সুপ্রিমকোর্ট জানায় ২০১৬ সালের ssc প্যানেল দ্বারা যোগ্য অযোগ্য প্রার্থী যাচাই করা সম্ভব নয় তাই পুরো প্যানেল বাতিল করা হোক এবং রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নয়া নিয়োগ প্রকিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়। নয়া রায়ে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী ভেঙে পড়েছেন। তাদের একাংশের বক্তব্য দেশের বিচারব্যবস্থার উপর তাদের প্রতাশ্যা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের আশঙ্কা- শিক্ষকদের চাকরি হারনোর ফলে রাজ্যের সরকারি স্কুল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, শিক্ষকদের অভাবে স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে – শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
রায় ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নব্বানে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী বলেন “সুপ্রিমকোর্টের রায় তিনি সমর্থন করেন না তবে বিচারব্যবস্থা প্রতি তাঁর আস্থা আছে, রায় অনুয়ায়ী ৩মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পুর্ন করা হবে” এবং বাম -বিজেপির প্রতি তিনি তীব্র আক্রমণ প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায় সি পি এম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান যোগ্য অযোগ্য বিচার না করে দেওয়াইয় , কোর্ট এই রায় দিয়েছে। যা একদমই সরকারের দায়। Ssc রায় ঘোষণার পর বিজেপিও তীব্র প্রতিবাদ জানায় সেন্ট্রাল এভিনিউতে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করে।