
দুবেলাঃ ৭ই মে , ২০২৫ ,ভারতীয় সময় আনুমানিক রাত ১টা ৪০ মিনিটে, ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিন্দুর’ । এই অভিযানের অধীনে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী । ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায় যে, ২২শে এপ্রিলের কাশ্মীরের পহালগামের হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করাই ছিল এই অভিযানের লক্ষ্য।
হামলার লক্ষ্যস্থলগুলির মধ্যে ছিল লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির প্রশিক্ষণ শিবির, যা পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদ, কোটলি এবং বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্যভাবে, কোনও পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করা হয়নি এবং ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। এই হামলায় মুজাফফরাবাদে কমপক্ষে ৮ জন সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়াও ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই হামলার পর পাকিস্তানও জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি গ্রামগুলিতে মর্টার শেলিং শুরু করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী শ্রীনগরের আকাশসীমায় একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে (JF17) গুলি করে অবতারণ করিয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান তাদের পাঞ্জাব প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে এবং
আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাদের দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ।