দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস : কাশ্মীরের পহেলগাঁওর বৈসারণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। যাতে দেশজুড়ে শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করছেন। গতকাল, ৪ মে, প্রধানমন্ত্রী বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং-এর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি, বিমান শক্তি ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকের আগে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা—তিন বাহিনীকে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে সময়, লক্ষ্য এবং পদ্ধতি নির্ধারণের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।
সরকার ইতিমধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে, আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে, তাদের কাছে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আগাম খবর রয়েছে এবং তারা প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে DRDO একটি উন্নত নজরদারি এয়ারশিপের সফল পরীক্ষাও করেছে। সব মিলিয়ে, ভারত সরকার পহেলগাঁও হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার পথে শীঘ্রই অগ্রসর হচ্ছে।