দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: জমজমাট দীঘার জগন্নাথ ধাম। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ, এবং এই মন্দিরের ধজা উত্তোলন করা হয়। বুধবার মন্দির প্রদক্ষিণের পর মূর্তি স্থাপন তারপর অধিবাস অভিষেকের পর চক্ষুদান করা হয় জগন্নাথ দেবের। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উন্মোচিত হলো। ঘড়ির কাটায় তখন ৩ টে বেজে ১৪ মিনিট,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেন। মুখমন্ত্রী উপহার হিসেবে দেন সোনার ঝাড়ু।
বঙ্গপোসাগরের পাশে প্রতিষ্ঠিত করা হয় জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গা জুড়ে এই মন্দির। বহু প্রতীক্ষিত এই মন্দির নির্মাণে প্রায় ৪০০ রাজস্থানী কারিগর ও ৭ জন ইঞ্জিনিয়ার যুক্ত ছিলেন।
উদ্বোধনের আগে মন্দির চত্বরে আয়োজিত হয় বিশেষ যজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পূর্ণাহুতি দেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার চালায়—বড় এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার, ভোগ বিতরণ ও পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।পুরির মতই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পূজাপাঠ, যজ্ঞ, ভোগ সমস্ত কিছুর আয়োজন করা হয়। এদিন জগন্নাথ দেবকে দেওয়া হয় ছাপ্পান্ন ভোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জগন্নাথ মন্দির দিঘায় ধর্মীয় পর্যটনের নতুন দ্বার খুলবে। স্থানীয় অর্থনীতি এবং পর্যটনের সম্ভাবনাও বাড়বে। উদ্বোধনের দিনে দিঘা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে ভিড় করেন। মন্দিরের অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও আচার-অনুষ্ঠান দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
এই মন্দির ভবিষ্যতে দিঘাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা রাজ্য প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের।