দুবেলা, সায়ন দাস: দুরন্ত ফুটবল খেলে লীগ শিল্ড আগেই নিজেদের নামে করেছিলো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। জোড়া খেতাবর লক্ষ্যে শনিবার ফাইনালে তাঁরা মুখোমুখি হয় বেঙ্গালুরু এফ সির। নক আউটে ভালো খেলে যোগ্য হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল সুনীলরা। তাই বেশ উপভোগ্য ফুটবলেরও দেখা মিললো বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। দুই দলই বেশ কয়েকটি গোলমুখী আক্রমণ সানাতে থাকে। বেঙ্গালুরুকে প্রথমার্ধে তুলনামূলক বেশি চনমনে দেখায়। তবে গোলের দরজা খুলতে পারেনা কোনো দলই। একটি নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় বেঙ্গালুরু। রায়ান উইলিয়ামসের একটি শট বক্সের মধ্যে শুভাশিস বোসের হাতে লাগে তবে সেটি রেফারি পেনাল্টি দিতে অস্বীকার করেন। আরও একবার প্রশ্নের মুখে পরে আই এস এলের রেফারিং। একদিকে উইলিয়ামস, সুনীল ছেত্রী, নগুয়েরা এবং মেন্ডিজরা অপরদিকে লিস্টন, মনবীর, জেমি ও কামিংসরা আক্রমণ চালালেও প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়র্ধের শুরুতেই ৪৯ মিনিটে রায়ান উইলিয়ামসের ক্রসে আত্মঘাতী গোল করে বসেন মোহনবাগান ডিফেন্ডার রোদ্রিগেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। মোহনবাগান গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পর পর আক্রমণ চালায় তাঁরা। ৭১ মিনিটের মাথার নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করে বসেন সানা সিং যার সুবাদে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। গোলকিপার গুরপ্রিতকে পরাস্থ করে মোহনবাগানকে খেলায় ফেরান জেসন কামিংস। দুই দলই বেশ কিছু পরিবর্তন করে স্কোরলাইন পাল্টাতে চাইলেও ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ স্কোরেই শেষ হয়। এক্সট্রা টাইমের ৯৯ মিনিটে মোহনবাগানকে জয় সূচক গোলটি এনে দেন তারকা বিদেশী জেমি ম্যাক্লারেন।
তারপর বেঙ্গালুরু সব চেষ্টা চালালেও তা বিফলে যায়। খেলা ২-১ গোলেই শেষ হয়। তাঁরসঙ্গে আই এস এলের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কীর্তি রচনা করলো। যারা একই মরশুমে লীগ শিল্ড এবং ট্রফি নিজের নামে করল। এবারের আই এস এলের গোল্ডেন বল এবং বুট নিজের নামে করলেন নর্থইস্ট ইউনাইটেডের আলাদিন আজারে এবং গোল্ডেন গ্লাভস পেলেন মোহনবাগানের বিশাল কাইথ।