দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস : বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলকে অবৈধ ঘোষণা করে। যার ফলে ২৫,৭৫৩ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যেখানে পূর্বের প্যানেলের যোগ্য প্রার্থীদের পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুনঃRBU স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষিকারও চাকরি বাতিল
রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কাঁদতে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে একে অপরকে জড়িয়ে। এই রায়ের ফলে, যারা পূর্বে সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসি নিয়োগে যোগ দিয়েছিলেন, তারা চাইলে তাদের পূর্বের পদে ফিরে যেতে পারবেন। আদালত উল্লেখ করেছে যে মূল ওএমআর শিট এবং উত্তরপত্রের অভাবের কারণে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তাই পুরো প্যানেল ধরেই চাকরি বাদ হওয়ার রায় দিলেন সুপ্রিমকোর্ট। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ, র্যাঙ্ক পরিবর্তন এবং যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে যে কিছু প্রার্থী খালি উত্তরপত্র জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে, এবং বাতিলকৃত কর্মচারীদের ১২% সুদসহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুনঃচাকরি বাতিলের প্রভাব একাধিক স্কুলে, প্রশ্নের মুখে পঠনপাঠন!
চিন্তিত অসংখ্য যোগ্য কর্মীরা। তারাতো পড়াশোনা করে যোগ্য প্রমান করে তবে চাকরি পেয়েছেন। তাদের ভবিষ্যতে আদেও কি আছে, তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য একটি বড়োসড়ো ধাক্কা, এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।