রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাজিমাত দিল্লির

Spread the love

দুবেলা, সায়ন দাস : আইপিএলের চার নম্বর ম্যাচে এসিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং লখনউ সুপার জায়েন্ট। টসে জিতে দিল্লির অধিনায়ক বল করার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথম ব্যাটে নেমে শুরুটা দারুন করে লখনউ। মিচেল মার্শ ব্যাট হাতে আগুন ঝরাতে থাকেন।তাঁর সঙ্গী মার্করাম যদিও বেশিক্ষন ক্রিজে স্থায়ী হননি। ১৫ রানে আউট হন মার্করাম। তিনি সাঁঝঘরে ফেরার পর মার্শ কে সঙ্গ দিতে আসেন পুরান। মার্শ এবং পুরান লখনউয়ের বোলারদের উপর লাগাতার আক্রমণ সানাতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ৮৭ রানের পার্টনারশীপ গড়ে ওঠে। তবে ১২ ওভারে ছক্কা হাকাতে গিয়ে আউট হন মিচেল মার্শ। ৩৬ বলে ৭২ রান করেন তিনি। তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে আসেন আই পি এল ইতিহাসের সবথেকে দামি প্লেয়ার ঋষভ পন্থ। প্রথম ম্যাচে খাতাও খুলতে পারেননি তিনি। ৬ বলে ০ রানে ফিরে যান। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ৭৫ (৩০) রানে সাঁঝঘরে ফেরেন পুরান। ঋষভ এবং পুরান পর পর আউট হয়ে যাওয়ার ফলে খেলায় ফিরে আসে দিল্লি। তারপর ব্যাট করতে আসা কেউই বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। ডেভিড মিলার (২৪) শেষ পর্যন্ত থাকায় ২০০ রানের গন্ডি পার করে লখনউ। ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০৯ রানে শেষ হয় তাঁদের ইনিংস। দিল্লির হয়ে তিনটি উইকেট নেন স্টার্ক, দুটি উইকেট পান কুলদীপ যাদব এবং একটি করে উইকেট নেন ভিপ্রাজ নিগম ও মুকেশ কুমার।

২১০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট হারায় তাঁরা। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (১) এবং অভিষেক পোড়েল (০) শার্দুল ঠাকুরের শিকার হন। দিল্লি চাপে পড়ে যায়। পাওয়ারপ্লেতে আরও দুটি উইকেট হারায় তাঁরা। অক্ষর প্যাটেল (২২) এবং সমীর রিজভী (৪) দাগ কাটতে ব্যার্থ হন। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই ২৯ রানে আউট হন দিল্লির অন্যতম ভরসা ফাফ ডু প্লেসি। ৬৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে দেওয়ালে পীঠ ঠেকে যায় তাঁদের। কিন্তু স্টাবস এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে আসা আশুতোষ শর্মা দিল্লির ইনিংস কিছুটা সামাল দেন। তবে ১২ ওভারে ৩৪ রানে স্টাবস আউট হয়ে যান। তাঁর বদলে ব্যাট করতে আসা ভিপরাজ নিগমের সঙ্গে ফের পার্টনারশীপ করে দিল্লিকে খেলায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাতে থাকেন আশুতোষ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ রানের পার্টনারশীপ হয় যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভিপরাজ ১৬ ওভারে আউট হয়ে যাওয়ায় ফের একবার চিন্তায় পড়ে যায় দিল্লির ডাগআউট। ফের পর পর দুটি উইকেট পড়ে দিল্লির। স্টার্ক এবং কুলদীপ আউট হয়ে যান তাড়াতাড়ি। শেষের দিকের ওভারে আশুতোষ চালিয়ে খেলায় ম্যাচ জয়ের প্রায় কাছাকাছি চলে আসে দিল্লি। শেষ ওভারে বাকি থাকে মোটে ছয় রান। ছয় মেরে নিজের স্টাইলে খেলা শেষ করেন আশুতোষ শর্মা। ৩১ বলে ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে একার জোড়ে ম্যাচ জেতান তিনি। লখনউয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর, রবি বিষ্ণই, সিদ্ধার্থ এবং দিগবেশ সিং। অসাধারণ ইনিংসের জন্য আশুতোষ কে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়।

Related posts

Leave a Comment