দুবেলা, সায়ন দাস: দিল্লিকে হারিয়ে ফের একবার ওমেন্স প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন হলো মুম্বই। ২০২৩ সালের ফাইনালেও তারা মুখোমুখি হয়েছিল। সেইবারও জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল মুম্বই। এই নিয়ে টানা তিনবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি নিজের নামে করতে পারলো না দিল্লি। ব্র্যাবোর্ন এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই চাপে পরে যায়। মারিজানে কাপ বল হাতে জ্বলে ওঠেন।
আরও পড়ুন:চার বছরের মেয়েকে আছড়ে মারার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
মাত্র পাঁচ ওভারেই দু উইকেট হারায় মুম্বই। পাওয়ারপ্লে তে রান হয় মাত্র ১৪। ম্যাথুস এবং ভাটিয়া তাড়াতাড়ি সাঁঝঘরে ফেরেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন হরমনপ্রিত কৌর এবং ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট ইনিংসের হাল ধরেন। স্কিভার ব্রান্ট ২৮ বলে ৩০ রান করে আউট হন। অপরদিকে টিকে থাকেন হরমনপ্রিত। তার সঙ্গে ব্যাট করতে নামা কের (২) এবং সাজনা (০) নিজেদের মেলে ধরতে ব্যার্থ হওয়ায় ফের একবার চাপে পরে যায় মুম্বই। তবে অধিনায়ক হরমনপ্রিতের ৪৪ বলে ৬৬ রানের সুন্দর ইনিংসের সুবাদে মুম্বই একটি লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছয়। মুম্বই ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রানে তাঁদের ইনিংস শেষ করে। দিল্লির সামনে তাঁরা ১৫০ রানের লক্ষ্য রাখে।
আরও পড়ুন:হোলি কা দহন: অহং ঢাকে রঙে
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি দিল্লির। দিল্লির দুই স্তম্ভ মেগ ল্যানিং এবং শেফালি বর্মা দ্রুত সাঁঝঘরে ফেরায় দিল্লির উপর চাপ সৃষ্টি হয়। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই আউট হয়ে যান জেস জোনাসনও। ল্যানিং (১৩), শেফালি (৪) ও জোনাসন (১৩) তিন জনই নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হন। ল্যানিংকে আউট করেন ব্রান্ট, শেফালিকে সাঁঝঘরে ফেরান শাবনিম ইসমাইল এবং জোনাসনের উইকেটটি নিজের নামে করে অ্যামেলিয়া কের। রদ্রিগেজ (৩০), কাপ (৪০) এবং প্রসাদ (২৫) চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি। ৮ রানে হেরে যায় দিল্লি। আবারও একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের। আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হলো মুম্বই।