হারহিম করা ঘটনা ট্যাংরায় তিন মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু

Spread the love

দুবেলা, রিয়া বিশ্বাসঃ ট্যাংরার অতুল শূর রোডে একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । বুধবার সকালে দরজা ভেঙে ওই বাড়ি থেকে দুই মহিলা ও এক নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই মহিলার হাতে শিরা কাটা এবং নাবালিকার হাতের শিরা কাটা ও মুখে ফেনার চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও, খুনের সম্ভাবনা ও রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত ওই দুই মহিলার নাম রোমি ও সুদেস্না দে।

আরও পড়ুনঃরাজ্যজুরে বৃষ্টির পূর্ববাস হাওয়া অফিসের

তিনটি আলাদা আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার হয় মৃত তিন মহিলার দেহ। তাদের ঘর থেকে একটি মাত্র কাগজ কাটা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে নাবালিকাকে পায়েসের সাথে মাদব মিশিয়ে খাইয়ে প্রথমে অচেতন করা হয় । তারপর হাতের শিরা কাটা হয়। এমনি নানা তথ্য উঠে আসছে এই রহস্যজনক মৃত্যুতে। এদিকে, ঘড়ির কাটায় যখন ভোর ৩ টে বেজে ১৫ একই দিনে মাত্র ১২ কিলোমিটার ব্যাবধানে ইএম বাইপাসের কাছে একটি নীল রঙের গাড়ি পিলারে ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুইজন ওই পরিবারের পুরুষ সদস্য এবং একজন নাবালক।

আরও পড়ুনঃসরোবন থেকে শাহবাগ

পুরুষদের মধ্যে বড়োভাই প্রণয় দে। এবং ছোটোভাই প্রসূন দে এনারা ওই দুই মহিলার স্বামী। গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের তিন সদস্যদের ।আহতদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ট্যাংরায় তাদের বাড়িতে পোঁছে যায়। দোতলায় ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকতেই হারহিম করা ঘটনার মুখোমুখি পুলিশ। পরিবারের তিন মহিলার রহস্যজন ভাবে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে।মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ । আহতদের দাবি, আর্থিক সমস্যার কারণে পরিবারের সবাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে প্রণয়ের হাতে ও নাবালকের হাতে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। তা নিয়েও ধোঁয়াশা।

আরও পড়ুনঃগ্রিন লাইনে সিগন্যালিং কাজের জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বন্ধ ৮দিন

তবে, তদন্তকারীরা আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। যেমন, আত্মহত্যার আগে কেন দুই পুরুষ সদস্য গাড়ি নিয়ে বের হলেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হলেন? রাত ১২ টা ৫১ তে তারা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন আর ৩.টে ১৫ তে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি।তবে মাঝের এই আড়াই ঘন্টা তারা কোথায় ছিল। এটা খুন নাকি আত্যহত্যা কি রহস্য তা ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃওড়িশায় KIITতে নেপালি ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে বিতর্ক

এছাড়া, মহিলাদের হাতের শিরা কাটার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার হয়নি। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। পরিবারটি চামড়ার গ্লাভসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, জানা গেছে ২৩ লক্ষ টাকার চেক বাউস হয়। এক পাওনাদার ফোন করেন তবে তাদের কাউকে পায় না ফোনে। শেষে বাড়িতে এসে একটি চিঠি রেখে যায় যোগাযোগ করার জন্য।ব্যবসায়িক ঋণ এবং আর্থিক অনটনই কি এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Related posts

Leave a Comment