দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : কলকাতায় লোকসভা নির্বাচন ১লা জুন। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততোই বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এবার মানিকতলার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঘটল অত্যাচারের ঘটনা। শনিবার মাঝরাতে সেই বিজেপি কর্মী ইন্দর যাদবের বাড়িতে ঢুকে তার বোনের ওপর শারীরিক নির্যাতন এবং মারধরের ঘটনা সামনে এলো। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
আরও পড়ুন : সিপিআইএম কর্মীকে হামলা, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে
উত্তর কলকাতা লোকসভার ফুলবাগান এলাকার নারকেলডাঙ্গায় ঘটে এই ঘটনাটি। কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী ইন্দর যাদবের বাড়িতে ঘটল এই ঘটনা। মাঝরাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা তার বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালান তার বোনের ওপর। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরেই খবর দেওয়া হয় জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে। তিনি অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই এলাকায় উপস্থিত হন। ইন্দর যাদবের বোনকে সেই রাত্রেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য এবং পরদিন ভোরবেলায় ফুলবাগান থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান তারা। ফুলবাগান থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি। কিন্তু পরে তারা অভিযোগটি গ্রহণ করে। তবে এই অভিযোগ তৃণমূল সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের মতে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল বা তৃণমূল সমর্থকদের কোন যোগাযোগ নেই। এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই ইন্দরের ওপর একইভাবে আক্রমণ হয় এবং তার সন্দেহ গিয়ে পড়ে তৃণমূলের ওপর। পুলিশ পাহারা থাকা সত্ত্বেও ইন্দরের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা ঢুকে আক্রমণ করে, তার বোনকে। এর ফলে পুলিশের উপরও উঠছে প্রশ্ন। সেদিন ওই এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি শীতলা পুজোয় উত্তর কলকাতার লোকসভা প্রার্থী তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ইন্দোর যাদবের বোন শশিও উপস্থিত ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে সেই কারণেই তাকে এভাবে আহত হতে হলো।
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার ওপর জঙ্গি হামলা, মৃত ১
উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনা অস্বীকার করে এবং জানায় এই ঘটনায় তাদের দলের কোন হাত নেই। এমনকি তারা নিরপেক্ষ তদন্তের আগ্রহও প্রকাশ করে। অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চার জনকে ইতিমধ্যেই পুলিশ আটক করেছে। মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা। তবে পুলিশ তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : ত্রিমুকুটের স্বপ্ন অধরা, ফাইনালে লজ্জার হার মোহনবাগানের