দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : ২০২৪ এর এপ্রিল ও মে মাসে গরমের ফলে নাজেহাল হয়েছিল বঙ্গবাসী। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার ও মঙ্গলবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার পরেই হাওয়া অফিস জানায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে থাকা ঘূর্ণাবর্তের কথা। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে রেমাল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অনুমান করছে এই সপ্তাহের শেষেই আছড়ে পড়বে রেমাল নামের এই ঝড়।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির সাজানো, বিস্ফোরক সিরিয়া পারভিন
২০২০ তে আমফানে সব তছনছ হয়ে যাওয়ার পর থেকে মানুষের মনে ঝড় সংক্রান্ত ভীতি আরম্ভ হয়েছে। আমফানে বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল মানুষ। এইবার জানা গিয়েছে রেমাল নামক এই ঝড় বইতে চলেছে প্রায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে। যার তেজ হতে চলেছে আম পানের থেকেও বেশি। শুক্রবার থেকেই মাঝারি থেকে জোরালো বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জায়গায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা।
আরও পড়ুন : হিরণের ডিগ্রি ভুয়ো, উঠছে অভিযোগ
শুক্রবার এই ঘূর্ণাবর্ত সকাল ৮টা নাগাদ শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তা এগোতে শুরু করবে মায়ানমার সাগরের দিকে। ২৫ তারিখ অর্থাৎ শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে তা পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বিস্তার করবে। আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। হালকা বৃষ্টি সাথে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি, সাথে বাড়বে হাওয়ার দাপটও। শুক্রবার থেকে সমুদ্র উত্তল হওয়া শুরু করবে এবং তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা ও বাড়বে সময়ের সাথে সাথে।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন সাধুদের একাংশ
আমপান, ইয়াসের সাথে মোকাবিলা করার পর এবার রেমালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গবাসী। বিভিন্ন জায়গায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সকলেই চিন্তিত। আম পানের চেয়েও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে যদি আঁচড়ে পড়ে এই ঝড় তবে এক বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির সাজানো, বিস্ফোরক সিরিয়া পারভিন