দুবেলা, শ্রেয়শ্রী দাস: বিজেপি-আইএসএফ মিত্রতার অভিযোগ নতুন নয়। লোকসভা ভোটের প্রচারে আবার সেই অভিযোগই করলেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। ভোট প্রচারে ভাঙড়ের সভা তে নাম না করে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে নিশানা করলেন তিনি।
আরও পড়ন:ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে চালু হল কিউআর কোড
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের ভোজেরহাটে জনসভা করেন। অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন,” ধর্মের উসকানি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভাঙড়ে আইএসএফ জিতেছিল বিধানসভা ভোটে। তারা মানুষের জন্য কোনও কাজ করে নি। বিগত ৩ বছর ধরে বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করেছে। এনআরসি-সিএএ যখন হয়েছে, তখন তিনি শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি মোদি, সুকান্ত, বা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কিছু বলেন না। কারণ টিকি টা দিল্লিতে বাঁধা।“ ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূলের দিল্লি অভিযানের প্রসঙ্গ তুলেও নাম না করে নওশাদকে তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন,”যখন দিল্লিতে আমাদের বিধায়করা আন্দোলন করছেন, তখন তিনি একটি চিঠিও লেখেননি রাজ্যের মানুষের পাওনা টাকা নিয়ে। বরং তিনি কখনও মোদি, অমিত শাহ আবার কখনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছেন। মানুষের উন্নয়নের জন্য, ভাঙড়ের উন্নয়নের জন্য তিনি কোনওদিন কোনও কাজ করেননি।“
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ হয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন শাহরুখ খান
বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলেও আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। তাঁর তোপ, “বহিরাগত বাংলা বিরোধীদের এক ছটাক জমি ছাড়া হবে না। ডায়মন্ড হারবারে জয়ের ব্যবধান এবার ৪ লক্ষ হবে। ভোটারদের কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আর্জি, “সুযোগ এসেছে আগামী ১ জুন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যেভাবে ভোট নিয়েছিল তার জবাব দেওয়ার।“ একুশের বিধানসভা ভোটে ভাঙড় থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন আইএসএফ নওসাদ সিদ্দিকি। লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো, তথা অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত এমপি করে কালীঘাটে পাঠাবো” শেষপর্যন্ত অবশ্য ভোটের ময়দানে নামেননি তিনি। ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফ-এর প্রার্থী মজনু লস্কর।
আরও পড়ন: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন সাধুদের একাংশ