দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: প্রত্যেক বছরের মতো এবারো এগিয়ে এসেছে ঠাকুর নগরের পূর্ণ ভূমিতে বারুনি মেলা।আগামী ২৬ মার্চ বুধবার রাত ১০.৩০ মিনিট গতে বৃহস্পতিবার রাত ৮. ৫৬ মিনিট পর্যন্ত চলবে মধুকৃষ্ণ ত্রয়ীদোশীর স্নানের যোগ।এবারের ২১৪ তম শুভ আবির্ভাব তিথি ,শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মউৎসব উপলক্ষে ঠাকুর বাড়ির কামনা সাগরে পূর্ণ স্নানে ভিড় জমান ভারতবর্ষের নানান স্তরের মানুষেরা।ইতিমধ্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের আগমন শুরু হয়ে গেছে ঠাকুরনগরের মাটিতে।
উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, কর্ণাটক আরো বিভিন্ন জায়গার মানুষ এমনকি বাংলাদেশ থেকেও ভক্তরা আসেন ঠাকুর নগরের পূর্ণ ভূমিতে। আনুমানিক প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়।সর্ব ধর্মের সমন্বয়ে এই মেলা হয়। তারা কামনা সাগরে স্নান করে মনের মালিন্য ফেলে দিয়ে ভক্তি করে পূজো করে। মধু কৃষ্ণ ত্রয়ীদশী তিথির যোগে স্নান করতে আসে ভক্তরা এই কামনা সাগরে। এবারে এই যোগ পড়েছে ২৭ এপ্রিল।এখানে পূজো করতে কোনো নিয়ম কানুন লাগে না। লাগে শুধু ভক্তি। ভক্তি করে পূজো করলে মনোস্কামনা পূর্ণ হয় তাঁদের। ভক্ত দের জন্য ঠাকুর বাড়িতে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি ঠাকুরনগরের বসবাসকারী মানুষ জন তারা তাঁদের বাড়িতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সমস্ত ভাবে পরিষেবা দেয়। রাস্তায় ভ্যান সমিতি থেকে শুরু করে বাজার কমিটি সব জায়গা জল খাবার বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় সম্পূর্ণ ফ্রি তে । ১৫ দিন ধরে এই মেলা চলে। ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের সামনে বড়ো মাঠ সেখানেই হয় এই মেলা। প্রচুর স্টল বসে, নাগরদোলনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মনোরঞ্জন এর দোকান থাকে।
প্রত্যেক বছর মানুষ শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মউৎসবের এই পূর্ণ স্নানের অপেক্ষায় থাকেন। মেতে ওঠে ঠাকুরনগর ডঙ্কর তালে তালে ।