দুবেলা, সায়ন দাস : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট খুইয়ে ৩৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে রাখে কিউয়ীরা। জোড়া শতরান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১০২) ও রাচীন রবীন্দ্র (১০৮)। পাশাপাশি ৪৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপ্স এবং ডারিল মিচেল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩ টি উইকেট নেন রাবাডা, ২ টি উইকেট নেন এনগিডি এবং ১টি উইকেট নেন মুল্ডার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকিল্টনের উইকেটটি ৫ ওভারে পড়ে গেলেও, নিজেদের ইনিংস সামলে রাখেন অধিনায়ক বহুমা (৫৬) এবং ভ্যান ডার ডুসেন (৬৯)। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর একমাত্র ডেভিড মিলার ছাড়া কেউই বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। সেই অর্থে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি মার্করাম এবং ক্লাসেন। মিলার একা একদিক থেকে লড়াই চালালেও শেষরক্ষা হয়নি। বৃথা যায় তাঁর ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। মিলারের ব্যাটিং দেখে কিছু সময়ের জন্য মনে হয়েছিল লক্ষ্যে পৌঁছন সম্ভব, শেষে তা হয়নি। ৩১২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৫০ রানে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেন উইলিয়ামসন, মিচেলরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক স্যান্টনার, ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও গ্লেন ফিলিপ্স এবং ১টি করে উইকেট নেন রাচীন রবীন্দ্র ও ব্রেসওয়েল। রাচীন রবীন্দ্র কে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়।
আবারও একবার ‘চোকার্স’ এর তকমা নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো প্রোটিয়ারা।
ফাইনালে স্নায়ুযুদ্ধ জিতবে কে ভারত না নিউজিল্যান্ড!
