দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: জেলায় শিক্ষকের ঘাটতি পূরণে নতুন উদ্যোগ গ্রামীন ও শহর সংলগ্ন প্রাথমিক স্কুলগুলোর মধ্যে শিক্ষকদের সংখ্যা অমিল রয়েছে শহরে অতিরিক্ত, গ্রামে অপ্রতুল এমন বাস্তবতার কারণে জেলা প্রশাসন ‘থ্রি টিচার পলিসি’ চালু করতে যাচ্ছে। পরিকল্পনাগত বদলি প্রয়োগ শুরু নদীয়া জেলার ডিপিএসসি বোর্ডের চেয়ারম্যান দেবাশিস বিশ্বাস জানান, বর্তমানে অল্পসংখ্যক শিক্ষক থাকে এমন প্রতিটি স্কুলে এখন তিনজন শিক্ষকই মোতায়েন করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহর সংলগ্ন ৩৫০টি স্কুলে শিক্ষকের অতিরিক্ততা থাকায় ওই শিক্ষকগুলোকে গ্রামীণ এলাকার ঘাটতির স্কুলে বদলি করা হবে। এই পদক্ষেপে প্রায় ৭০০ পরিমাণ অতিরিক্ত শিক্ষক পুনঃবণ্টন করা হবে।
থ্রি টিচার পলিসি’-র লক্ষ্য ও প্রত্যাশা প্রথমত, প্রত্যেক প্রাথমিক স্কুলে অন্তত তিনজন শিক্ষক থাকবে একজন শিক্ষিকা থাকা বাঞ্চনীয়। থ্রী টিচার পলিসি অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী শিক্ষক, আর একজন সহযোগী শিক্ষক। শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে এবং পঠন‑পাঠনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে। প্রশাসন ও অভিভাবক উভয়েই আশাবাদী যে, এই প্রয়াস বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার পরিমাণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক কিংশুক দাস বলেন, “শিক্ষক স্বার্থে খুব বেশি বিঘ্ন না করে যদি শিক্ষক অপ্রতুল থাকা স্কুলে বদলি করা যায়, তা অত্যন্ত ভালো।” অন্যদিকে, বিজেপি শিক্ষক সেলের কনভেনার অমিত চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “গ্রামের স্কুল থেকে শিক্ষকরা তৃণমূল নেতাদের টাকায় শহরে বদলি নিয়ে এসেছেন”, ফলে গ্রামে নতুন পাঠদাতা পাঠানো সম্ভব হবে কি না সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিমুহূর্তের খবর পেতে লাইক করুণ II দুবেলা নিউজ