কসবা ল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার TMCP নেতা 

Spread the love

দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: আরজিকর ঘটনার পর ফের কলেজে গণধর্ষণ। কলকাতার কসবা এলাকার এক সরকারি আইন কলেজে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত ২৫ জুন সন্ধ্যায়, যখন কলেজ চত্বরেই এক ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাহীন একটি গার্ড রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগে জানানো হয়েছে, এক প্রাক্তন ছাত্র, যিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তিনি মেয়েটিকে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। ছাত্রী প্রত্যাখ্যান করে, আর এই রাজি না হওয়ার কারণেই তাঁকে ক্যাম্পাসেই আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।পাহাড়ায় থাকে দুই যুবক।গোপনে তোলা ভিডিও ভাইরাল করার ভয় পর্যন্ত দেখানো হয় নির্যাতিতাকে।

এই ঘটনায় মনোজিত মিশ্র নামে এক প্রাক্তন ছাত্র-নেতা (TMCP) দক্ষিণ কলকাতার সাধারণ সম্পাদক, সহ দুই বর্তমান ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ছাত্রীটির শরীরে কামড় ও নখের আঁচড়ের মতো বলপ্রয়োগের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটার মধ্যে ঘটেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে এতবড় একটি অপরাধ কিভাবে সংঘটিত হলো তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

এই ঘটনার জেরে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্রদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এই নির্যাতনের খবর এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। SFI, AIDSO ও SUCI সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ চালায়।অন্যদিকে, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের যোগের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। যদিও শাসক দল এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশনও হস্তক্ষেপ করেছে। পুলিশ কমিশনার নিজে তদন্তের তদারকি করছেন এবং ফরেনসিক দল ক্যাম্পাস থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আপাতত তিন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই ঘটনার ফলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Related posts

Leave a Comment