দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের আচমকা বিধানসভা অভিযান।৫ ০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে পথে নামলো টেট উত্তীর্ণরা। চোখে মুখে উত্তপ্ত আগুনের ছাপ। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেট সরিয়ে ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আচমকা বিধানসভা ভবনের দিকে দৌড় বিক্ষোভকারীদের।
তিন বছর আগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা। হাতে মেধাতালিকার কাগজ, অথচ এখনও মেলেনি নিয়োগপত্র। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসের খেলায় বারবার প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অবশেষে রাস্তায় নামলেন বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। রাজপথেই তাঁদের হাহাকার। চাকরিপ্রার্থীরা জানান“তিন বছর টেট পাস করে বসে আছি, বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি বিধানসভা অভিযানের দিকে। ” বিক্ষোভকারীদের মুখে স্লোগান ছিল “নেপাল থেকে শিক্ষা নিন পঞ্চাশ হাজার নিয়োগ দিন,না হলে যুবসমাজ ক্ষেপে গেলে আটকাতে পারবেনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী “
SSC দুর্নীতি দীর্ঘদিন চলার পর অবশেষে ফের পরীক্ষা নেওয়া হলো। কিন্তু এবারের ঘটনাটা একটু আলাদা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় স্লোগান “চাকরি চাই, ন্যায্য অধিকার চাই।” রাজপথ জুড়ে শোনা গেল ক্ষোভের বিস্ফোরণ। অনেকে জানান, সরকারি চাকরির স্বপ্ন দেখিয়ে প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে ছলনা করেছে। আদালতের দরজা থেকে আন্দোলন মঞ্চ সর্বত্র ন্যায়বিচার চাইলেও এখনো মেলেনি কোনো ফল।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রাজপথে বিক্ষোভের কারণে যানজটও তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়লেও অধিকাংশই তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখান। অনেকেই জানান, “যোগ্যরা চাকরি না পেলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
ঘটনাস্থলে পুলিশ মাইক নিয়ে প্রচার করতে থাকে আইন নিজের হাতে না তুলতে এবং এভাবে ঝামেলা না করতে। তখন পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে একাধিক চাকরিপ্রার্থীরা। প্রশাসনের তরফে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই লড়াই আর শুধু চাকরির জন্য নয়, এটি তাঁদের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্ন।

প্রতিমুহূর্তের খবর পেতে লাইক করুণ II দুবেলা নিউজ