মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে হাতাহাতি তৃণমূল ও সিপিএমের

Spread the love

দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান, মথুরাপুর এর বাম প্রার্থী শরৎচন্দ্র হালদার এবং জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মন্ডল মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাজরা মোড়ে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন প্রচুর সিপিএম কর্মী ও সমর্থকরা। সিপিএমের অভিযোগ হাজরা থেকে মিছিল নিয়ে আলিপুর যাওয়ার পথে কালীঘাট সেতুর কাছে মাইকে তৃণমূল সমর্থিত গান বাজতে শুরু হয়। সেই গান শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বেশ কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা।

আরও পড়ুন : কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টি

কালীঘাট সেতু ছাড়িয়ে মিছিল যখন গোপালনগর পৌঁছায় তখন উত্তেজনা আরো বেড়ে ওঠে। সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের মুখোমুখি হন সিপিএম কর্মীরা। তখনই সিপিএমের মিছিল থেকে আক্রমণাত্মক ভাবে ‘চোর’ স্লোগান ওঠে। সেই স্লোগান শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল সমর্থকরা। তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করে যে তাদের মাইকের তার ছিড়ে দিয়েছে সিপিএমের মিছিলে উপস্থিত থাকা কিছু কর্মী। তা থেকেই সূত্রপাত হয় হাতাহাতির। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ না থাকায় সেখানে উপস্থিত পুলিশদের পক্ষেও অসম্ভব হয়ে পড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। তবে কোনো রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। তারপর সিপিএম প্রার্থীরা সকলেই আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিং এর ভিতর চলে যান। মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা।

আরও পড়ুন : ফের তাপপ্রবাহ দক্ষিণ ভারতে, জানালো মৌসম ভবন

এই ঘটনার ফলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতির কথা উঠে আসছে। সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল সকাল দশটায়। বেলা বারোটায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার ছিল দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং যাদবপুর লোকসভা প্রার্থী সায়নী ঘোষের। তা জানা সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া হয়নি তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন : কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টি

Related posts

Leave a Comment