দুবেলা, সায়ন দাস : দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর আবারও নিজেদের ঘরের মাঠ বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রিড়াঙ্গনে এ এফ সির কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। এ এফ সি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুর্কিমেনিস্তানের টিম আর্কাদাগ এফ কের মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের উপর চাপ তৈরী করে আর্কাদাগ। মাঝমাঠেই বল ঘোরাফেরা করে। কিন্তু ডিফেন্সর ভুলে গোল হজম করতে হয় মশাল বাহিনীকে। আর্কাদাগের হয়ে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করেন গুর্বানভ। ইস্টবেঙ্গল কয়েকবার পাল্টা আক্রমণে গেলেও সেই অর্থে লাভ হয়নি। বরং আর্কাদাগের কাছে গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার কয়েকটি সুযোগ এসেছিলো। গোয়ালকিপার গিলের অসাধারণ সেভে স্কোরবোর্ড একই থাকে। প্রথমার্ধের শেষে স্কোর হয় ইস্টবেঙ্গল এফ সি ০, আর্কাদাগ এফ কে ১।
দ্বিতীয়র্ধে ইস্টবেঙ্গল কে তুলনামূলক চনমনে লাগে। বারংবার গোলমুখী আক্রমণের চালাতে থাকেন মাহেশ, ক্রেসপোরা। কিন্তু প্রতিবারই আক্রমণ প্রতিহত হয়। একাধিক শট আটকে দেয় আর্কাদাগের ডিফেন্স লাইন। কিছু সহজ সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যার্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। কোচ অস্কার ব্রুজোন দ্বিতীয়র্ধে বিষ্ণু, ক্লেইটন সিলভা এবং নিশু কুমার কে নামিয়ে প্রানপন চেষ্টা করলেও লাভের লাভ হয় নি। বিষ্ণু, মহেশ, সেলিস নিজেদের কে মেলে ধরতে ব্যার্থ হন। মেসি এবং দিমিকেও ফিকে লাগে। অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন, নাহলে স্কোরলাইন পরিবর্তন হতে পারতো। অন্যদিকে আর্কাদাগ কৌশলে সময় নষ্ট করে খেলার বেগ অনবরত কমিয়ে দিয়ে ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে থাকে। সব চেষ্টার পর ৯০ মিনিটে খেলা ১-০ গোলেই শেষ হয়।
এদিন প্রায় ৩০ হাজার দর্শক মাঠে আসলেও তাঁদের কপালে জোটে শুধুই হতাশা। ইস্টবেঙ্গলের এখন একটাই আশা। আগামী ১২ তারিখ আর্কাদাগের ঘরের মাঠে তাঁদের হারিয়ে যদি কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। তবে গোলের ব্যবধানটাও মাথায় রেখে খেলতে হবে।