দুবেলা, অরিজিৎ মন্ডলঃ ২০১৯ সালের পর আবারো হায়দ্রাবাদ সেন্টাল ইউনিভার্সিটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলো এসএফআই-এএসএ-ডিএসইউ জোট। এবিভিপি কে হারিয়ে তারা নিজেদের দখলে রাখল ছাত্র সংসদ। প্রায় ৫৩০০ বেশি শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যার ৭৬ শতাংশ ভোট পড়ে।
আরও পড়ুনঃ উদ্ধবের সঙ্গে কেজরিওয়ালের বৈঠক নিয়ে জোর জল্পনা!
শুক্রবার ভোটদান পর্বের পর, শনিবার সারাদিনব্যাপী গণনা চলে। কর্তৃপক্ষ রাত রাত অবধি অপেক্ষা করে ফলাফল দিতে যাতে করে দুইপক্ষ যাতে কোন সংঘর্ষ না জোড়ায়। প্রায় ১৮৩৪ ভোট পেয়ে এসএফআই-এএসএ-ডিএসইউ জোটের প্রার্থী প্রজ্বল ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে। এই জোটের থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন পৃথ্বী সাই, সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কৃপা মারিয়া জর্জ, যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাথি গণেশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন লিখিথ কুমার এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন চ জয়রাজ। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যবধান বাড়াতে শুরু করে জোটের প্রার্থীরা। ফলাফল ঘোষণার পরই এসএফআই নেতৃত্বাধীন জোটের ছাত্ররা আনন্দে ফেটে পড়ে এবং তাদের জয় উদযাপন করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ উৎসব মানেই রাধা হাউসিং কমপ্লেক্স
শুক্রবার রাতে হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির এসএফআই-এএসএ-ডিএসইউ প্যানেলের একটি নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়া কে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং এবিভিপি ছাত্রকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, উভয় সংগঠনের অন্তত আটজন ছাত্র আহত হয়। এই ঘটনাটি ঘটে এইচএম (মেনস হোস্টেল) এ। একটি কাঁচের দরজা সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু সাইকেল ও হোস্টেলে সম্পত্তি নষ্ট করা হয় উভয় পক্ষের তরফে।
আরও পড়ুনঃ ‘জাঠা’কে হাতিয়ার করে মানুষের দুয়ারে SFI
এসএফআই এর অভিযোগ,”এসএফআই-এএসএ-ডিএসইউ জোটের একটি নির্বাচনী পোস্টার ছেড়ার সময় একজন এবিভিপি ছাত্রকে হাতেনাতে ধরে ফেলে হয়”। উল্টোদিকে এবিভিপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তারা পাল্টা অভিযোগ করে,”তাদের তিনজন কার্যকর্তা এসএফআইয়ের ছাত্রদের দ্বারা আক্রান্ত”।
আরও পড়ুনঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ এসএফআইয়ের