দুবেলা, সায়ন দাস: আই এস এলের লীগ শিল্ড অনেক আগেই ঝুলিতে পুড়েছিলো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে শিল্ড জয় উদযাপন করতে চেয়েছিলো তাঁরা। আর জিতেই জয়ের আনন্দে মেতে উঠলো সবুজ মেরুন বাহিনী।
আরও পড়ুন:কবে বন্ধ হবে সিভিকদের দাদাগিরি ?
ঘরের মাঠে এদিন মোলিনা ব্রিগেড এফ সি গোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমার্ধের খেলা মূলত মাঝ মাঠ জুড়েই চলতে থাকে। দুই দলই বেশ কিছু গোলমুখী আক্রমণ চালায় তবু গোলের দরজা খুলতে পারেনা কেউই।ম্যাচের ১৭ মিনিটে গোয়ার স্ট্রাইকার গোরাচেনা গোল করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৪৪ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান একবার জালে বল জড়ালেও তা পেট্রাটসের হাতে লাগায় বাতিল করে দেন রেফারি। প্রথমার্ধের খেলা গোলশুন্য অবস্থায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন:অন্তরে বাস করে যে
দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে বরিস সিংয়ের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। যেভাবে তিনি পিছনের দিকে হেডটি করে জালে বল ঠেলে দেন ফুটবলের এই স্তরে সেটি লজ্জার। তারপরেও আক্রমণ প্রতি আক্রমণ চলতে থাকে। দুই দলই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে গোল করতে চায়। মোহনবাগানের হয়ে পেট্রাটসের জায়গায় নামা জেসন কামিংস কয়েকটি সুযোগ পান কিন্তু গোল করতে ব্যার্থ হন। গোয়া যখন ম্যাচের শেষে আক্রমণ ভাগে লোক বাড়িয়ে আক্রমণে গতি আনার চেষ্টা করছে ঠিক তখনি সন্দেশ ঝিঙ্গানের একটি ভুল থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করে যান মোহনবাগানের নম্বর টেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। তিনিই গোয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়ে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন সুনীল ছেত্রীর
এদিন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের মূল দলের বেশ কিছু ফুটবলার খেলেন নি। সেই সুবাদে প্রথম একাদশে সুযোগ পান আশিক কুরুনিয়ান, ধীরাজ সিংয়ের মতন তরুণ প্রতিভা। আশিক কুরুনিয়ান কে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়। যুবভারতী তে প্রায় ৬০ হাজার দর্শকেদের সঙ্গে এই শিল্ড জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিলো মোহনবাগান দল। মোহনবাগান দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে গ্যালারিতে দেখা মেলে বহু টিফোর। লীগ শিল্ডের পর মোহনবাগানের পরবর্তী লক্ষ্য আই এস এল ট্রফি।