দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: ট্যাংরায় মর্মান্তিক ঘটনায় ভয়ানক অভিজ্ঞতা নাবালক ছেলের। পরিবারের তিন মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু, সাথে পরিবারের আর তিন জন পুরুষের গাড়ি দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে নাবালকের বয়ানে তদন্তের মোর ঘুরে গেল। নাবালক জানায় কাকা প্রসূন বালিশ চাপা দিয়ে মারতে চেষ্টা করে তাকে। কিন্তু সে খানিক্ষন শ্বাস আটকে রেখে মরার ভান করে।
আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের নিশানা করে জঙ্গি হামলা
যেহেতু ওই নাবালক যোগ ব্যায়াম,জিম করতো তার অভ্যাস ছিল শ্বাস অনেক্ষন আটকে রাখার। নাবালক এও জানায় নেশা মেশানো পায়েস খাওয়ালেও কিছুই হয়না তার। মা,কাকিমা ও দিদি কে বাবা এবং কাকা দুজনে মিলে খুন করে। খুনের আগে তারা বাঁধা ছিল। সবাইকে খুন করার পর বাবা, কাকা আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে যায়, এবং নাবালক কেও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। নাবালক বলে কাছের মানুষ কেউ আর বেঁচে নেই তাই আর তার বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই তাই তারও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: সিএসকে শিবিরে ধোনির যোগদান
নাবালকের বয়ানে চামড়ার ব্যবসা ছিল তাদের, ব্যবসা লাটে উঠেছিল তাই এই সিদ্ধান্ত। ভয়ানক শিকারুক্তির শিকার ওই নাবালক। মৃত্যুর মুখ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মৃত্যু কি তা নিজে চোখে দেখেছে সে। তার এই বয়ানে তদন্ত আরও সরল হলো বলা যায়। অন্যদিকে চিন্তা রয়ে গেল কি হবে নাবালকের ভবিষৎ। বর্তমানে তার মানুষিক অবস্থা খুবই খারাপ। কতটা মানুষিক ভাবে ঠিক থাকবে সে পরিবারের প্রিয়জনদের ছাড়া।