দুবেলা, ঋত্বিকা ঘোষ : ছোটবেলা মানেই পড়াশোনা খেলাধুলা আর গল্পের বই পড়া। বিশেষত সেই গল্পের বই যদি হয় রহস্য রোমাঞ্চ বা ভ্রমণ কাহিনীতে ভরা তাহলে তো কোন কথাই নেই। বাড়ির কোন গুরুজনের ভরসা না করে শুধুমাত্র বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টে যেদিকে খুশি চলে যাওয়া যায়, তখন কিন্তু কেউ বাধা দেয় না। আর সঙ্গে যদি থাকে “পান্ডব গোয়েন্দা”, তাহলে তো পথ হারানোর কোন প্রশ্নই ওঠে না। বাবলু, বিলু,ভোম্বল,বাচ্চু বিচ্ছুর হাত ধরে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। আর পাহারাদার হিসেবে তো রয়েইছে পাঁচু।
আরও পড়ুনঃ জীবন ফিরে পেলেন সুস্মিতা সেন!
বাংলার শিশু সাহিত্যের ইতিহাসে এক অন্যতম নাম “পান্ডব গোয়েন্দা”।১৯৮১ সালে সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় জন্ম দেন “পাণ্ডব গোয়েন্দার”। বাবলু বিলু ভোম্বল বাচ্চু বিচ্ছু এবং পাঁচু এই ছিল পাণ্ডব গোয়েন্দার চরিত্র। তারা বহু জটিল রহস্য উদঘাটন করেছে।
আরও পড়ুনঃ নারীশিক্ষা বন্ধ করতে বিষাক্ত গ্যাস হামলা ইরানে
তবে ৩রা মার্চ ২০২৩-এ ৮২ বছর বয়সে ষষ্ঠী পদ চট্টোপাধ্যায় পরলোক গমন করলেন।সকাল ১১ টাই হাওড়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কাল্পনিক গোয়েন্দা উপন্যাস “পাণ্ডব গোয়েন্দার” হাত ধরে পাঠক সমাজে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।” পান্ডব গোয়েন্দা” ছাড়াও ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় “চতুর্থ তদন্ত,” ” সেরা গোয়েন্দা ২৫”, ” গোয়েন্দা তাতারের অভিযান” ইত্যাদি বহু কাল্পনিক গোয়েন্দা এবং ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন।প্রত্যেকটি গল্প প্রেমী মানুষের বিশেষত কিশোর কিশোরীদের আবেগের সাথে জড়িয়ে আছেন তিনি। কিশোর কিশোরীদের বেড়ে ওঠার শক্তি ছিলেন তিনি। তার প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক বিশাল বড় ক্ষতি হলো। তবে তার সৃষ্টি পাণ্ডব গোয়েন্দা সকল শিশুদের মনে আজীবন শীর্ষস্থান অধিকার করবে।
আরও পড়ুনঃ ৪০ দিন পর জামিনে মুক্ত নওশাদ