দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: বর্তমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ফের আলোচনার কেন্দ্রে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, দুই দেশ যদি যুদ্ধাবস্থায় লিপ্ত থাকে, তাহলে মার্কিন বাণিজ্যিক সহযোগিতা স্থগিত রাখা হতে পারে। তাঁর মতে, শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলে উন্নয়নমূলক বাণিজ্য চালানো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন কাশ্মীর সীমান্তে আবারও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে এবং উভয় দেশের সেনাবাহিনী তৎপর। বিশেষ করে পাকিস্তানের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ ও ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যদি ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের বিরোধ থামাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। তবে তার আগে দু’দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি— যুদ্ধ চললে বাণিজ্য নয়।”
এই হুঁশিয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক কূটনীতির এক সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়। এ কারণে ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও উভয় পক্ষকে শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে এবার তাঁর বক্তব্য অনেক বেশি সরাসরি এবং কড়া।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই বার্তা উভয় দেশের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াবে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে— ভারত ও পাকিস্তান কী আদৌ এই বার্তার যথার্থতা উপলব্ধি করবে?
আজকের এই বার্তাই নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিল দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর সম্পর্ক নিয়ে।