১.৪০ কোটি টাকার ঋণ এড়াতে, মৃত্যুর ভান

Spread the love

দুবেলা, স্বর্ণেন্দু হালদার: মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায়, দুই সপ্তাহ আগে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ায়, এবার তা এক বিস্তৃত জালিয়াতির রূপ নিয়েছে। রাজগড়ের বিজেপি নেতা মহেশ সোনির ছেলে বিশাল সোনি ১.৪০ কোটি টাকা ঋণ ফাঁকি দেওয়ার জন্য নিজের মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন এবং এসডিইআর‌এফ দলকে কালিসিন্ধ নদীতে ১০ দিনের ২০ কিলোমিটার অনুসন্ধানে পাঠান। যদিও তিনি মহারাষ্ট্রে লুকিয়ে ছিলেন।

কালিসিন্ধ নদীতে ৫ সেপ্টেম্বর একটি গাড়ি ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে নাটকটি শুরু হয়েছিল। ডুবুরি লাগিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করা হলে, গাড়িটি খালি দেখতে পায়। গাড়িটি, “বিশাল সোনির” বলে সনাক্ত করা যায়। যার ফলে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বিশালের বাবার অভিযোগের পর, তিনটি পৃথক দল প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নদীতে ২০ কিলোমিটার অনুসন্ধান করে। এরপর যখন বিশালের কোন চিহ্ন দেখা গেল না। তখন সন্দেহ আরো জমাটবদ্ধ হয়।

আরও পড়ুনঃ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে প্রয়াত

স্টেশন হাউস অফিসার আকাঙ্ক্ষা হাদা বিশালের মোবাইল ফোনের ডিটেইল রেকর্ড সংগ্রহ করে, যা বিশালের মহারাষ্ট্রে অবস্থান প্রকাশ করে। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে, পুলিশ ফারদাপুর থানা এলাকা থেকে বিশালকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে বিশাল বলে, তার ছয়টি ট্রাক এবং দুটি পাবলিক গাড়ি ছিল কিন্তু ১.৪০ কোটি টাকার বেশি ঋণের বোঝা তার উপর ছিল। বিশাল পুলিশকে বলে, “আমাকে বলা হয়েছিল যে যদি আমার মৃত্যুর প্রমাণ পায়। তাহলে ব্যাংক ঋণ মুকুব করা হবে”।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় AI ছবি ট্রেন্ড কতটা নিরাপদ?

৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৫ টায়, বিশাল তার গাড়ির হেডলাইট বন্ধ করে গাড়িটিকে নদীতে ঠেলে দেয় এবং তার ট্রাক চালকের বাইকে করে ইন্দোরে পালিয়ে যায়। সংবাদপত্রে নিজের মৃত্যুর খবর পড়ে বিশাল শিড়ডি এবং শনি শিংনাপুর ভ্রমণ করে। যখন খবর পেল যে পুলিশ তার অবস্থান খুঁজে পেয়েছে, বিশাল তার জামা ছিঁড়ে ফারদাপুর থানায় তার অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ উল্লেখ করেছে যে, নিজের মৃত্যুর জাল করার জন্য কোন‌ও ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য সরাসরি কোন‌ও সংবিধান নেই। তাই বিশালকে কোন‌ও আনুষ্ঠানিক মামলা ছাড়াই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

Related posts

Leave a Comment