হিন্দু বোর্ডে মুসলিম থাকবে? সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন

Spread the love

দুবেলা, শ্রদ্ধা দাসঃ নতুন ওয়াকফ আইন সংশোধনের পর দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আইনে ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্য রাখার বিধান এবং দান গ্রহণে শুধুমাত্র মুসলি মদের সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে। বহু মানুষ একে ধর্মীয় নীতির পরিপন্থী এবং সংবিধান-বিরোধী বলে মনে করছেন। আইনটি পাস হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের কিছু জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এমনকি সহিংসতাও ঘটেছে বলে খবর মিলেছে।

এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠন। কংগ্রেস, সিপিআই, ডিএমকে, জেডিইউ সহ অনেকেই দাবি করেছে, এই আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দ ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডও প্রকাশ্যে আইনটির বিরোধিতা করেছে। তাঁদের বক্তব্য, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কারা থাকবেন বা দান দেবেন, তা নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের হাতেই থাকা উচিত। অ-মুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলেও অভিযোগ উঠছে।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকার জানায়, ওয়াকফ আইন পুরোপুরি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে তৈরি হয়েছে এবং একে স্থগিত রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সরকারের দাবি, এই আইন একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশে পাস হয়েছে এবং সংসদের দুই কক্ষেই এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যদি আদালত এতে হস্তক্ষেপ করে, তবে তা আইনসভা, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থার ভারসাম্যে প্রভাব ফেলবে। যদিও আদালত পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশে আইন ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা বিবেচনা করে কিছু ধারা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার কথা ভাবছিল, শেষমেশ সরকারের অনুরোধে সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন নজর সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের দিকে।

Related posts

Leave a Comment