অবসর নিয়ে কি বললেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী সদস্য?

Spread the love

দুবেলা, সায়ন দাস: আই সি সি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হলো ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড চালিয়ে খেলতে থাকে। বিশেষ করে রাচীন রবীন্দ্র ভারতীয় পেসারদের উপর চড়াও হয়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর তুরূপের তাস বরুন চক্রবর্তী কে বল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উইকেট উঠে আসে।

আরও পড়ুন:আসানসোলে দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু

প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে নিউজিল্যান্ডের ৬৯ রান হয়। কুলদীপ যাদব বল করতে আসলে পর পর সফলতা পায় ভারত।

 

রাচীন রবীন্দ্র কে ৩৭ রানে এবং কেন উইলিয়ামশন কে ১১ রানে সাঁঝঘরে ফেরান তিনি। স্পিনাররা বোলিংয়ের হাল ধরার পর থেকেই রানের গতি কমে যায়। একদিকে ডারিল মিচেল টিকে থাকলেও অন্য দিকে টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপ্স বেশিক্ষন স্থায়ী হননি।

https://www.facebook.com/reel/584510634591417

যদিও গ্লেন ফিলিপ্স এবং ডারিল মিচেলের মধ্যে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে, যা বরুন চক্রবর্তী ভেঙে দেন। পরে ব্রেসওয়েল নেমে মিচেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এবং শেষটা ভালো করেন। দুজনেই অর্ধশতরানের গন্ডি পার করেন। মিচেল ৬৩ রানে মহম্মদ শামির শিকার হন এবং ব্রেসওয়েল করেন অপরাজিত ৫৩ রান। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৫১ রানে। ভারতের সামনে ২৫২ রানের লক্ষ্য খাড়া করে কিউয়ীরা।

আরও পড়ুন:যুবভারতীতে দুরন্ত জয় মোহনবাগানের

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে ভারত। রোহিত শর্মা একের পর এক বাউন্ডারি হাকাতে থাকেন। পাশাপাশি সঙ্গ দিতে থাকেন সহ অধিনায়ক শুভমান গিল। দুজনের মধ্যে ১০৫ রানের একটি পার্টনারশিপ তৈরী হয়, যা দেখে মনে হচ্ছিলো খুব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছবে ভারত। কিন্তু মিচেল স্যান্টনরের বলে গিলের মারা শটকে গ্লেন ফিলিপ্স দেহ শুন্যে ছুড়ে দিয়ে একটি অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে গিলকে সাঁঝঘরে ফেরান। তারপরেই খুব কম সময়ের মধ্যেই বিরাট কোহলি (১) এবং রোহিত শর্মা (৭৬) আউট হয়ে যান। যেখান থেকে নিউজিল্যান্ড কিছুটা ম্যাচে ফিরতে থাকে এবং চাপ তৈরী করে। স্বাভাবিকভাবেই রানেই গতি কমে যায়। তবে শ্রেয়াস আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলের জুটি আস্তে আস্তে আবারও ভারত কে ম্যাচে ফেরায়। তাঁদের মধ্যে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:‘নারী দিবসের ৫০ বছরে, দিদি বাংলার ঘরে ঘরে’

স্যান্টনরের বলে শট মারতে গিয়ে ৪৮ রানে আউট হন শ্রেয়াস। অযথা বড়ো শট খেলতে গিয়ে নিজের উইকেটও বিসর্জন দেন অক্ষর প্যাটেল। ২৯ রানে তিনি আউট হয়ে যান। আবারও মনে হয় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফিরতে পারে কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হতে দেননি লোকেশ রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁদের ৩৮ রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয় প্রায় সুনিশ্চিত করে ফেলে। হার্দিক পান্ডিয়া আউট হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন রাহুল। তাঁর সঙ্গ দিতে আসা রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকেই জয়সূচক রানটি হয়। আর সেই সুবাদে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজের দখলে নেয় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা কে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:কবে বন্ধ হবে সিভিকদের দাদাগিরি ?

২০১৩ র পর ১২ বছরের মাথায় ফের একবার ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলো। সৌরভ গাঙ্গুলি, এম এস ধোনির পর রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজের নামে করলো ভারত। অসাধারণ এই জয়ের জন্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বহু খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

Related posts

Leave a Comment