দুবেলা, দিশা সাহা মন্ডলঃ দেশপ্রেমিক ভাবধারায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচিত বর্ষীয়ান অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার শুক্রবার প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শনিবার সকালে জুহুর পবন হংস শ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন । ভারতের অ্যাবটাবাদ শহরে (বর্তমান পাকিস্তান) এক পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ কুমার, যার আসল নাম ছিল হরিকৃষণ গোস্বামী। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় তাঁর পরিবার দিল্লিতে চলে আসে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং তারপর চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মুম্বই পাড়ি দেন। মনোজ কুমার তাঁর ভক্তদের মধ্যে ‘ভারত কুমার’ নামে পরিচিত ছিলেন, কারণ তিনি শহীদ, “উপকার”, “পুরব ঔর পশ্চিম। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে “হিমালয় কী গোদ মেঁ”, “দো বাদন”, “পাথর কে সনম”, “হরিয়ালি ঔর রাস্তা”, “ক্রান্তি” এবং আরও অনেক ছবি। পশ্চিম”, রুটি কাপড়া ঔর মকান সহ একাধিক দেশপ্রেমভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করে জাতীয়তাবাদের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ১৯৯২সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৫সালে দাদা সাহেব পুরস্কারে সম্মানিত হন।
শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর পর বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, প্রেম চোপড়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, ফারাহ খান এবং তাঁর ভাই সাজিদ খান মনোজ কুমারের বাসভবনে এসে শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান।অমিতাভের সঙ্গে তাঁর পুত্র অভিষেক বচ্চনও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সেলিম খানকে জড়িয়ে ধরেন। পিতা-পুত্র দুজনেই পরেছিলেন সাদা কুর্তা পাজামা এবং কালো জ্যাকেট সাধারণ কিন্তু মর্যাদাপূর্ণ পোশাক, যা শোকপ্রকাশের গভীরতা প্রতিফলিত করে। মনোজ কুমার ভারতীয় চলচ্চিত্রে দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর ছবিগুলো জাতীয়তাবাদ ও সাংস্কৃতিক গর্বকে তুলে ধরেছে। ‘ভারত কুমার’ নামে তিনি প্রজন্মের মনে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন।