দুবেলা, সায়ন দাস : ফের একবার মেঘের রাজ্যে সরকার গড়তে পারে এনপিপি এবং বিজেপির জোট। ৬০ টি আসন বিশিষ্ট মেঘালয়ে ৫৯ টি কেন্দ্রে গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী নির্বাচন সংগঠিত হয়। প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসও মেঘালয়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তাই এ রাজ্যের কর্মী ও সমর্থকদেরও নজর ছিল ফলাফলের উপর।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরাতে বিজেপির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বাম-কংগ্রেস জোট
ফলাফল ঘোষনা হওয়ার একদম গোড়ার দিকে এনপিপির সাথে জোড় টক্কর দিচ্ছিলো তৃণমূল কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে তৃণমূলের সরকার গঠনের আশা ততো ফিকে হয়েছে। বিভিন্ন এক্সিট পোল অনুযায়ী সম্ভবনা দেখা যায় যে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেঘালয়ে পাচ্ছে না। তৃণমূলের ঝুলিতে যাচ্ছে প্রায় ১৩-১৫ টি আসন। কিন্তু কোনো সম্ভবনাই মিললো না। অনেক আগেই থামতে হলো তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুনঃ ৪০ দিন পর জামিনে মুক্ত নওশাদ
গত বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে এনপিপি পায় ২০ টি আসন, কংগ্রেস পায় ২১ টি আসন, বিজেপির ভাগ্যে জোটে মোটে ২ টি আসন এবং ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির ঝুলিতে যায় ৬ টি আসন। জাতীয় কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও ২০১৮ সালে এনপিপি, বিজেপি এবং অন্যান্য স্থানীয় দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। পরে ২০২২ সালে কংগ্রেস কে ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে ওঠে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল। তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল সংমা, চার্লস পিনগ্রোপের মতো একাধিক নেতা।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত পাণ্ডব গোয়েন্দা স্রষ্ঠা
মেঘালয়ের ম্যাজিক ফিগার ৩১। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এনপিপির ঝুলিতে যায় ২৬ টি আসন, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি পায় ১১ টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেসের পকেটে যায় ৫ টি আসন, কংগ্রেস পায় ৫ টি আসন, বিজেপির কাছে যায় ২ টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেস গারো পাহাড়ি অঞ্চলে ভালো ফলাফল করলেও খাসি এবং জয়ন্তীয়া পাহাড়ের বেশিরভাগ আসনই ছিল এনপিপির দিকে।
আরও পড়ুনঃ ‘জেতার সম্ভবনা কম’ : দিলীপ ঘোষ
ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ শনিয়েছিলেন এনপিপি এবং বিজেপিকে। তৃণমূল উই কার্ড এবং মাই কার্ড চালু করেছিল। সেই কর্মসূচিতে ক্ষমতায় আসলে আর্থিক সাহায্যের কথাও বলা ছিল। কিন্তু সেই অর্থে কোনো কাজেই এলো না এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুনঃ জীবন ফিরে পেলেন সুস্মিতা সেন!
মেঘালয়ের ৫ আসনে জয় সম্পর্কে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” আমি মেঘালয়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। আমরা কিছুদিন আগেই শুরু করেছি এবং এর মধ্যেই প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। এটা আমাদের জাতীয় দলের স্বীকৃতিতে সাহায্য করবে। পরের বার আমরা আরও ভালো করবো। ” তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীও জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।