দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : রাজকোটের টিআরপি গেমিং জোনে শনিবার একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ ২৪ জনের। তবে এখানেই শেষ নয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কার্য শুরু করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। সাথে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে তৎপর হয় দমকল বাহিনী।
আরও পড়ুন : কলকাতা মেট্রোয় চালু বিশেষ পরিসেবা , জেনে নিন
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানতে পারা গেছে ২৫ শে মে অর্থাৎ শনিবার দুপুরে হঠাৎ আগুন লেগে যায় রাজকোটে অবস্থিত টিআরপি গেমিং জোনে। এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ এ। শিশুসহ বহু মানুষ প্রাণ হারায় এই অগ্নিকাণ্ডে। তবে মোকাবিলা দপ্তরের মতে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে। তার সাথে জখমের সংখ্যা অনেক। তাদের সফলভাবে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দমকল বিভাগের একজন আধিকারিক আর এ জোবান জানান উদ্ধারের কাজ এখনো চলছে। সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা এখনো তারা বলতে পারছেন না। রাজকোটের পুলিশ কমিশনার রাজু ভার্গব জানান যে আগুন লাগার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। তিনি এও বলেন দমকল কর্মীদের চেষ্টাতেই পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। আগুন কিভাবে লাগলো জানতে পারা যায়নি কিন্তু তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর অনুসারে গেমিং জোনটির মালিক যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি নামক এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে রক্ষণাবেক্ষণ এর গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধারের কাজ শেষ হলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত আরম্ভ করবেন তারা।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির সাজানো, বিস্ফোরক সিরিয়া পারভিন
এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং প্যাটেল তার টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন প্রশাসন ও পৌরসভা কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুর্ঘটনার ব্যবস্থা নিতে হবে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সরকার তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেই আশ্বাস দেন ভূপেন্দ্র সিং প্যাটেল।
আরও পড়ুন : হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে ফাইনালে কলকাতা
দমকল আধিকারিক আই ভি খের বলেন যে প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম না থাকার কারনে তারা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনতে অক্ষম হয়েছেন। আগুন লাগার কারন যদিও জানা যায়নি তবে পুলিশ তদন্ত আরম্ভ করে দিয়েছে। কোন নিখোঁজের খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আহতরা চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : কেশপুরে হিরণকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ