জীবন যুদ্ধে হার মেনেই মৃত্যুমুখী শহরবাসী!

Spread the love

দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস: বেহালার শকুন্তলা পার্কে জোড়া দেহ উদ্ধার করা হয় বাবা ও মেয়ের। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বাবা স্বজন দাসের অফিস থেকেই উদ্ধার করা হয়  দুই ঝুলন্ত দেহ। গতকাল বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে বাবা স্বজন দাস ২২ বছরের অটিজম আক্রান্ত কন্যাকে নিয়ে এস এস কেএম হাসপাতাল লাগোয়া বাঙ্কুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলোজি তে  চিকিৎসা করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরেন। স্ত্রীকে ফোনে  এও জানান যে তিনি এস এস কেএম হাসপাতালে পৌঁছে গেছেন এটা শুনে একটু সন্দেহ হয়েছিলো স্বজন দাসের স্ত্রীর।

আরও পড়ুন:অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করে রেকর্ড গড়লেন রিগজিন

কারণ বাড়ি থেকে বেরোনোর কিছু সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাওয়াটা সঠিক মনে হয়নি তার। স্বজন দাস জানান রাস্তা ফাঁকা ছিল তাই বাইক নিয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছেন তিনি। এটা যে পুরোটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে তা পরিষ্কার।
স্বজন দাস তার মেয়েকে নিয়ে তার অফিসে ঢোকেন। স্থানীয়রা জিজ্ঞাসা করায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেন মেয়েকে সব কাজ দেখাবেন কিভাবে কাজ করেন। স্বজন দাসের জলের ফিল্টারের ব্যবসা ছিল। কোনো রকম কোনো ঝামেলা বা ব্যাবসা লাটে ওঠেনি তার। মেয়েকে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি রাখেননি সে। জন্মগত রোগ অটিজম রোগ কন্যার চিকিৎসা করলেও তার ভালো ফলাফল পায় নি বাবা, এক কথা দুবার করে বলতো কন্যা সৃজা দাস।স্বাভাবিক ভাবেই অটিজম আক্রান্ত মানুষেরা মানুসিক দিক থেকে খুবই ছোটো বাচ্চাদের মতো হয়।
আরও পড়ুন:আধুনিকতার দ্বন্দ্ব ও সত্যজিতের সিনেমা
ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে  এটা কি নিজেদের সম্মতিতেই আত্মঘাতী। নাকি চিকিৎসায় ব্যার্থ বাবা চিন্তিত হয়ে, মেয়েকে মেরে তারপর নিজে আত্মীঘাতী হয়েছেন । এখনো সব প্রশ্ননই ধোয়াসা।অটিজম আক্রান্ত সে নিজের ইচ্ছায় আত্মঘাতী কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর রহস্য কিছুটা বোঝা যাবে।

Related posts

Leave a Comment