দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের গোঘাট ও ময়নাপুরের লাইন সংযোগের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবং তা চলছে পুরোদমে। ময়নাপুর ও বড় গোপীনাথপুরের মাঝের ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল লাইনটি প্রসারের কাজ প্রায় ৯০% সম্পন্ন এবং তা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ও পরবর্তী প্রকল্পের কাজ ও শুরু হয়ে যাবে। বড় গোপীনাথপুরে রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন। মোট ৩৩ টি ছোট সেতুর মধ্যে ৩১ টির কাজ সম্পন্ন এবং তিনটি বড় সেতু তৈরীর তোরজোড় চলছে। ইলেকট্রিক ট্রাকশনের কাজ এবং সিগনালিন কেবেল বসানোর কাজ শুরু হবে ২ বা ১ দিনের মধ্যেই।
আরও পড়ুন : শেষ ম্যাচ নিয়ে বার্তা সুনীলের
বড় গোপীনাথপুর ও জয়রামবাটির মধ্যে ট্র্যাকের ভিত্তি স্থাপন করার কাজ চলছে এবং ২৫ টির মধ্যে ২১ টি ছোট সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৮ টির মধ্যে ৫ টি বড় সেতু নির্মাণের পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। জয়রামবাটী স্টেশন নির্মাণের কাজ চালু হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষেই তা পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গোঘাটের ট্র্যাকটি গোঘাট স্টেশনের বাইরে আরো ১.৫ কিলোমিটার প্রসারিত করা হয়েছে। গোঘাট ও কামারপুকুরের মাঝে অবস্থিত ২৮ টি ছোট সেতুর কাজ ও সীমিত উচ্চতার সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এবং গোঘাটকে কামারপুকুরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য দুই প্রান্তর থেকেই মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : হোস্টেল নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ যাদবপুর কর্তৃপক্ষের
ভবাদিঘির উপর অবস্থিত ৯০০ মিটার দীর্ঘ রেলপথটি বেশ কিছু স্থানীয় সমস্যার জন্য স্থিমিত আছে কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতার সঙ্গে সহযোগিতার ফলে এই কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে যদি জয়রামবাটি কামারপুকুরের রেল যোগাযোগের কাজ সম্পন্ন হয় তাহলে বিপুল পরিমাণে উপকৃত হবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। জয়রামবাটি কামারপুকুর একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এই প্রকল্প সফল হলে বহু পর্যটকদের সুবিধা হবে। এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ও পরিবহন সুবিধাজনক করার জন্য রেলওয়ে এই প্রকল্পটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এই প্রকল্প স্বল্প সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে উপকৃত হতে পারবে বহু মানুষ।
আরও পড়ুন : ঋতুস্রাব নিয়ে ছুঁৎমার্গ ভাঙতে উদ্যোগী SFI