দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিতাদেশ জানায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানান এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য ও অযোগ্য বিচার করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট, তাহলে যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন : প্রাক্তন স্বামীর জন্মদিনের রাতেই পিঙ্কির পোস্ট
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় জানানোর কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের আদেশ আপাতত স্থগিত রাখার রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এও জানায় এক্ষুনি কাউকেই বেতন ফেরত দিতে হবে না। কিন্তু ২০১৬ সালে নিয়োজিত প্রত্যেককেই মুচলেকা দিতে হবে। তবে পরে যদি তাদের নিয়োগ অবৈধ বলে গণ্য হয় তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর সঙ্গেই সিবিআই ও অবৈধ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্থগিতাদেশ থাকবে এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। ১৬ জুলাই আবার এই মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট এবং সেটি হবে এই মামলার চূড়ান্ত রায়। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেই বিকাশ জানান যে আপাতত সবারই চাকরি বহাল থাকবে তবে তাদের একটি মুচলেখা দিতে হবে। তদন্ত যেরকম চলছিল সেরকমই চলবে। কুনাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যেই আবেদন করেছিল অর্থাৎ চাকরি কেড়ে না নেওয়ার আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের রায় সেই আবেদনেরই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন : বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, রেজাল্ট জানুন সহজেই
সোমবার আদালতে জানানো হয় যে যোগ্য আর অযোগ্যদের পৃথক করা যেখানে সম্ভব হবে সেখানে অযোগ্যদের বিরুদ্ধেই শুধু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লোকসভা ভোট পর্বের ফলেই হয়তো সুপ্রিম কোর্ট এ প্রকার ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে নিয়োজিতদের পক্ষের উকিল আগের কোর্ট হিয়ারিং এ দাবি করেছিলেন যে অনেকেই এখন ভোটের ডিউটিতে বাইরে আছেন, তাই এই নির্দেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখালে ভোটের কাজে সুবিধা হবে। এর ফলেই হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর তারিখ ১৬ই জুলাই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দৃশ্য দূষণ ঠেকাতে নয়া নীতি কলকাতা পুরসভার
১৬ই জুলাই কোর্ট তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই অনুযায়ী চাকরি বাতিল হবে। কোন ওএমআর শিট না থাকায় যোগ্য অযোগ্যদের বিচারটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। অযোগ্য এবং যোগ্যদের পৃথক করা গেলে ২৬ হাজার মানুষকেই হয়তো চাকরি হারা হতে হবে না।
আরও পড়ুন: ভুয়ো এজেন্ট ধরলেন সেলিম