দুবেলা, নেহা ব্যানার্জী: গত ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও অঞ্চলে ঘটে গেছে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিচারিক কমিশন গঠনের আবেদন জানিয়ে একটি আবেদন দায়ের হয়ে করা হয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন প্রত্যাখান করেছেন। তারা জানিয়েছেন এমন একটি পদক্ষেপ সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবে, এই বিষয় নিয়ে আবেদনকারীর যথেষ্ট সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল। দেশের এই বিশেষ সময় যেকোনো সিদ্ধান্তই যথেষ্ট সংবেদনশীলতার সঙ্গে গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত, আবেদনকারীকে কড়া ভাষায় ভর্ত্সনা করে বলেছেন এই সমস্ত জনস্বার্থ মামলার আবেদন করার আগে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হতে। দেশের প্রতি প্রত্যেকের কিছু কিছু দায়িত্ববর্তায়। বিশেষ করে এমন একটি সময়, যখন প্রত্যেকটি ভারতীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়েছেন। আবেদন করা হয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি দ্বারা পরিচালিত এই হামলায় যেখানে ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তা নিয়ে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হোক। আদালত জানিয়েছে, বিচারকদের কাজ বিচার করা, তদন্ত করা নয়।
“কখন থেকে আমরা তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলাম? আপনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে তদন্ত করতে বলছেন। বিচারকরা কেবল বিচার করতে পারেন, তদন্ত নয়” দাবি আদালতের। আবারো পিটিশনকারী আদালতের ভর্ত্সনার সম্মুখীন হন যখন তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরের রাজ্যে যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন, তাদের সুরক্ষার নির্দেশনার আবেদন জানান। পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীরা হামলার শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন পিটিশনকারী। আদালত এই আবেদনও মঞ্জুর করেন না বরং আবেদনকারীকে ভর্ত্সনার মাধ্যমে আদালত তার আবেদন নাকচ করে দেন।
আবেদনটি প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, আবেদনকারী এই বিষয়গুলি, বিশেষ করে যেগুলি কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সম্পর্কিত তা নিয়ে হাইকোর্টে যেতে পারেন। এই হামলা কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যার ফলে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। পাকিস্তানকে এই গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। এই হামলার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
