দুবেলা, রিয়া বিশ্বাস :উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে মা ও পাঁচ বছরের মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দোহারিয়া শৈলেশ নগর দুর্গা মণ্ডপ এলাকার ভাড়া বাড়িতে মধুমিতা রায় (৩৫) ও তাঁর কন্যা প্রশংসা রায়ের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।বাড়ির মধ্যেই মেঝেতে পরে থাকে দেহ।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মধুমিতা মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। মধুমিতার স্বামী প্রসেনজিৎ রায় স্থানীয় একটি পিচ বোর্ড কারখানায় কর্মরত। সাত বছর আগে তাঁদের বিবাহ হয় এবং পাঁচ বছর আগে কন্যা প্রশংসার জন্ম। শুক্রবার প্রসেনজিৎ কাজ থেকে ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু সাড়া না পেয়ে পাশের মুদিখানায় ফোন করেন। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মধুমিতা ও প্রশংসার দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:পর পর ভুমিকম্পে আতঙ্কিত আমজনতা
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, যদিও চিঠিটি কার লেখা তা এখনো সঠিক জানা যায়নি। যেখানে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” তবে মধুমিতার দেহে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে, যা তদন্তকারীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মধুমিতা হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন এবং দাম্পত্য জীবনে কোনো অশান্তির কথা শোনা যায়নি।কখনো কোনো ঝগড়া ঝামেলা এসব শোনা যায়নি।তাঁর এই হটাৎ এমন পদক্ষেপের কারণ নিয়ে এলাকায় কৌতূহল ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন:সিএসকে শিবিরে ধোনির যোগদান
কিছুদিন আগে মধ্যমগ্রামে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে এক মহিলাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিতে ভরে গঙ্গায় ফেলার চেষ্টা করা হয়। এই ধরনের পরপর ঘটনাগুলো ঘটার ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমজনতা । মধুমিতা ও প্রশংসার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। এলাকাবাসী এই মর্মান্তিক ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার আশা করছেন।
মা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। এই ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য স্বাস্থ্য, পারিবারিক সব দিক থেকে সচেতন ও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।