ভুয়ো এজেন্ট ধরলেন সেলিম

Spread the love

দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : মঙ্গলবার ৭ই মে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়। সকাল থেকেই বুথে বুথে একাই ঘুরছিলেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। হঠাৎই ঝামেলার খবর আসে গোপীনাথপুরের ৩৬ নম্বর বুথ থেকে। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছান বাম প্রার্থী। অভিযোগ করা হয় সিপিএমের এজেন্ট কে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। বুথে পৌঁছে মহম্মদ সেলিম এক ভুয়ো এজেন্টকে চিহ্নিত করে বুথের বাইরে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন :

ভোটের সময় বহুবার ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে। কিন্তু এই প্রথমবার শোনা গেল ভুয়ো এজেন্টের কথা। গোপীনাথপুরের ৩৬ নম্বর বুথে বামেদের এজেন্ট ছিল মোস্তাক। তার ওপরই মারধরের অভিযোগ। মহম্মদ সেলিম বলেন সিপিএম ও নির্দলের এজেন্টদের মেরে সেই জায়গায় অন্য লোক বসে আছে। চুরি করা হয়েছে ফর্মও। তার মতে এ ধরনের চুরির কথা খুবই বিরল। তিনি এই প্রতারকদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন। ভুয়ো এজেন্ট শুধু গোপীনাথপুরেই নয়, কেশবপুর থেকেও ধরা পরে। কেশবপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ের বুথে যান সেলিম এবং আবার ও ধরেন এক ভুয়ো এজেন্টকে। সেই ব্যক্তি দাবি করেন তাকে আয়নুল হক নামক একজন ফর্ম ফিলাপ করে নির্দলের এজেন্ট হয়ে বসার জন্য বলে। কিন্তু ধরা পড়ার পর তিনি ক্ষমা চান এবং জানান আয়নুল হক তৃণমূলের লোক।

আরও পড়ুন :

সেদিনই লোচনপুরের বুথে যান সেলিম। সেখানে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে একটা তৃণমূল ক্যাম্প দেখতে পেয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর ফলে তাকে ঘিরে “গো ব্যাক” স্লোগান দেওয়া হয়। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানান মহম্মদ সেলিম কিছু গুন্ডা এনে এসব চক্রান্ত চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুন :

বিরোধী দলের কেউই এই অভিযোগ স্বীকার করেননি। অনেক জায়গায় মহম্মদ সেলিমকে ঘিরে স্লোগান দেওয়া হয় এবং তাকে ফিরে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। মহম্মদ সেলিম বলেন এসবই তৃণমূলের উস্কানি। ভুয়ো এজেন্টের দ্বারা রিগিং করার পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু তা ভেস্তে যাওয়ায় তারা এই প্রকার আচরণ করেছে।

Related posts

Leave a Comment