দুবেলা, রিয়া বিশ্বাসঃ বাংলার সংগীত জগতের প্রখ্যাত গায়ক সুরকার ও গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়। শনিবার সকালে তিনি চিরতরে চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। সকালে এস এসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ১৯৪২ সালে ২৫ জুন অভিভক্ত বাংলার বরিশালের জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
দেশ ভাগের পর প্রতুল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবার চুঁচুড়ায় স্থায়ী হন। শৈশব থেকেই তাঁর গানের প্রতি গভীর আগ্রহ। মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গল চরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ এই গকবিতায় সুরারোপ করে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি সঙ্গীতের জন্য আলাদা কোনো প্রশিক্ষনে যাননি। তাঁর পর থেকে একের পর এক গান করে বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ও ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ এই দুটি গান বাংলার সঙ্গিত প্রেমীদের হৃদয়ে গভীর স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও গোসাঁইবাগানের ভূত, ও চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করেন তিনি ।
ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এস এসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে। ৬ ফেব্রুয়ারী তাঁর অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তাঁর শরীরের অবনতি হতে থাকে। এবং তাঁকে আইটিইউতে নেওয়া স্থানান্তরিত করা হয়। শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর দেহ দুপুর ২টো থেকে ৪ টে অবদি রবীন্দ্রসদন এ শহীদ করে রাখা হয়েছে,যেখানে সবাই এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে যায় তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়িতে এলিফ্যান্ট টুরিজম হাব
তিনি তাঁর দেহ ও চোখ দানের অঙ্গীকার করে দিয়ে গিয়েছিলেন।তারপর সেই দান পক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে এস এসকেএম হাসপাতালে।তাঁর এই মৃত্যুতে বাংলার সঙ্গীত জগতে গভীর শোকের ছায়া পড়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও শোক প্রকাশ করে বলেছেন বাংলার অন্যতম গীতিকার, বিখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়য়ের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত। তাঁর এই মৃত্যুতে শোকস্তম্ব গোটা বাংলা।