ট্রাম্পের হুমকির জবাবে হুঁশিয়ারি ইরানের

Spread the love

দুবেলা, স্বস্তিকা বিশ্বাসঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বোমা হামলার হুমকির জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইরান সামরিক আক্রমণের শিকার হয়, তবে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।

 খারাজি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ ও প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। কিন্তু যদি আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন যে, যদি তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই এই হুমকিকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আইআরজিসি’র শীর্ষ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন হলে, আমরা শুধুমাত্র আত্মরক্ষা করব না, বরং কঠোর প্রতিশোধ নেব। যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো এবং তাদের মিত্র দেশগুলো আমাদের পাল্টা আক্রমণের আওতায় থাকবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির উপরও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে এগিয়ে যায়, তবে তা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আরও বড় দ্বন্দ্বের জন্ম দিতে পারে। পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে বিশ্ব সম্প্রদায় এই সংকট নিরসনে দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Related posts

Leave a Comment