দুবেলা , নেহা ব্যানার্জী: আগামী ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ দেবের মন্দিরের শুভ সূচনা করেন এবং মন্দিরটিকে “জগন্নাথ ধাম” নামে নামকরণ করেন। কিন্তু, “ধাম” কথাটি শুধুমাত্র জগৎগুরু শঙ্করাচার্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতের চারধামের (অন্য তিনটি হল বদ্রিনাথ, রামেশ্বর এবং দ্বারকা) ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেই চার ধামের একটি হলো জগন্নাথ ধাম, যা ঐতিহ্যগত ভাবে ওড়িশার বুকে অবস্থিত।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নামকরণের কারণে শুধুমাত্র পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরাই নন, বরং জগন্নাথ ভক্তরা, ওড়িশার জনগণ তীব্রভাবে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। তারা এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের তাদের রাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও করেন।
এই বিতর্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে তাঁরা পুরীর মন্দির এবং জগন্নাথ ধামের ওপর পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। সারা দেশ জুড়ে যেমন কম বেশি প্রত্যেক দেব-দেবীর একের বেশি মন্দির রয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন জগন্নাথ দেবের মন্দিরও বিভিন্ন স্থানে থাকা উচিত। তা নিয়ে মানুষের এত ক্ষোভ কেন?
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে থাকা “জগন্নাথ ধাম” সাইনেজটি ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুরীর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জগন্নাথ সেনার আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পটনায়েক একে ৪.৫ কোটি ওড়িয়ার বিজয়গাথা বলে অভিহিত করেছেন। এ যেন তাদের কাছে এক যুদ্ধ জেতার আনন্দের সমান।