দুবেলা, সৃষ্টি চক্রবর্ত্তী : আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান ছিল সোমবার রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির। সেই অনুমান বিফলে যায়নি। সোমবার সকাল থেকেই আবহাওয়া জানান দিচ্ছিল বহু অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। বিকেলবেলা ধরাকে শান্ত করার জন্য রাজ্যে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি।
আরও পড়ুন : আমেরিকায় কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট
গরমের হাঁসফাসানি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ঘর্মাক্ত অবস্থায় লড়াই করতে করতে মানুষ প্রার্থনা করেছে সামান্য বৃষ্টির জন্য। সেই প্রার্থনা এবার বাস্তবে পরিণত হয়ে। সোমবার বিকেলে রাজ্য জুড়ে হয় বৃষ্টি। কোথাও মুষলধারে, কোথাও হালকা। বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির ফলে জল জমে গেছে, গাছ ভেঙে পড়েছে কিছু জায়গায়। নদীয়ায় নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত ভালুকা, চাপড়া, আন্দুলিয়া ও কৃষ্ণনগরে গাছ ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক তারের ওপর। বেশ কিছু দোকান ও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও তীব্র গতি বেগে ঝড় হয় যার ফলে চারিদিক ধুলোয় ঢেকে যায়।
সেই কারনে যান চলাচল ও বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা তৎপরতার সাথে সেই গাছ রাস্তা থেকে সরায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা বৈদ্যুতিক তার সরানোর কাজে ইতিমধ্যেই বহাল। নদীয়ায় ঝড়ের ফলে বাড়ির দেয়াল ভেঙে দুজনের মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। এই বৃষ্টি যেন মানুষের কাছে উৎসবের সমান। বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রার পারদ অনেক কমেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫° সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩° সেলসিয়াস। সারা সপ্তাহ প্রায় এরকমই তাপমাত্রা চলবে বলে ধারণা। সাথে হতে পারে আরো বৃষ্টি।
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার ওপর জঙ্গি হামলা, মৃত ১
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা সাথে থাকবে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস। আপাতত এই সপ্তাহটা তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবে রাজ্যবাসী। কিন্তু তারপরে আবার তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : মানিকতলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বোন