দুবেলা, ঋত্বিকা ঘোষ : এবার থেকে শুধু শীতের মরশুমে নয়, বৈশাখের ঝিরঝিরে হাওয়াতেও মিলবে বইমেলার স্বাদ। এই অসামান্য উদ্যোগ নিয়েছে পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড। দক্ষিণ কলকাতার যোদপুর পার্ক এলাকার তালতলা মাঠে শুরু হল ‘ নববর্ষ বই উৎসব ১৪৩০’। ১৬ ই এপ্রিল থেকে ২৫ এ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই বই উৎসব।
আরও পড়ুনঃ শিশু হত্যা নিয়ে উত্তপ্ত তিলজলা
আজ সন্ধ্যেবেলায় ছিল বইমেলার শুভ উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার ইত্যাদি গুনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। কলকাতার সাংসদ সকল পাবলিশার্স এর উদ্দেশ্যে বলেছেন যে , ” এই প্রতিকূল আবহাওয়াতে বইমেলা কষ্টদায়ক। তাই সল্টলেকের শীতকালীন বইমেলা শেষ হওয়ার পর আবহাওয়া ঠান্ডা থাকাকালীন এই বইমেলাটি যেন আয়োজন করেন। তাহলে আরও জনসমাগম বেশি হবে বলে তিনি আশা রাখেন। ” এছাড়াও তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, ” এই বইমেলা হল দক্ষিণ কলকাতার মানুষের কাছে দুয়ারে বইমেলা। ” প্রখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে, ” চারিদিকে যে ভাবে ই বুকের পরিমান বাড়ছে তাতে বলা যায় যে বই পড়া বা বই কেনার অস্তিত্ব বেশ সংকটে। তাই আমাদের তৈরী থাকতে হবে। কোনোভাবে এই সংকট যেন মানুষকে গ্রাস না করতে পারে। ”
আরও পড়ুনঃ প্যান ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের সময় বৃদ্ধি
পূর্বে বইমেলা অনুষ্ঠিত হত ময়দানে। কিন্তু বর্তমানে সেটি অনুষ্ঠিত হয় সল্টলেকে। তাই দক্ষিণ কলকাতা থেকে সল্টলেকে যাওয়া সাধারণ জনগনের কাছে বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গিল্ড এর পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দশ দিনের বই উৎসবে রকমারি বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে বিতর্ক সভা।বই পড়া এবং এই বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচিত হবে বিতর্ক সভা। ৮৫ টি বইয়ের ষ্টল দিয়ে জমজমাট দক্ষিণ কলকাতার বইমেলা।
আরও পড়ুনঃ দুদিনের বঙ্গসফরে এলেন রাষ্ট্রপতি