দুবেলা, শ্রেয়শ্রী দাস : কিছুদিন আগেই উঠে এসেছিল এক চাঞ্চল্যকর খবর, কোভিশিল্ড টিকা থেকে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। খবরটি শোনা মাত্রই সাধারন মানুষ চিন্তায় পরে গিয়েছিল। সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করেন। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাটি।
আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন স্বামীর জন্মদিনের রাতেই পিঙ্কির পোস্ট
সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিল যে পুরো বিশ্বের বাজার থেকে ওই সংস্থা তৈরি ভ্যাক্সজেভরিয়া, কোভিশিল্ড- সহ অন্যান্য আরও যা করোনা টিকা রয়েছে, সব তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। অবশ্য তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সূত্র থেকে জানা যায় বাজার থেকে করোনা টিকা তুলে নেওয়ার জন্য গত ৫ই মে আবেদন জানায় সংস্থাটি। এরপর ৭ই মে থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার সম্পূর্ণ বানিজ্যিক কারণ দেখানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। তাদের দাবি, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা তুলে নিচ্ছে, এর সাথে পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন যোগাযোগ নেই। এরইমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। ব্রিটেনে ৮১ জনের থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি যৌথভাবে তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ এই ফারমাসিউটিক্যাল সংস্থা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। ভারতে এই টিকা পাওয়া গিয়েছিল পুনের সেরাম ইন্সটিটিউট এর মাধ্যমে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আরও জানিয়েছে যে নতুন নতুন ভাইরাস কে রুখতে পুরনো ভ্যাকসিনের বিকল্প বানানো হচ্ছে। ভারতেও বন্ধ হচ্ছে এই টিকা।
আরও পড়ুনঃ চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
ব্রিটিশ এই সংস্থার বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি আইনি মামলা। মামলাকারীর দাবি, কোভিশিল্ডের ডোজ নিয়ে একাধিক মৃত্যু এবং গুরুতর অসুস্থতার ঘটনা সামনে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে কোর্টে একটি নথি পেশ করা হয়েছে যেখানেওই ব্রিটিশ সংস্থা স্বীকার করেছে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে থ্রম্বসিস সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। এই সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে নানা জায়গায় রক্ত জমে যায়। প্লেটলেট কমে যায়।